কাজের প্রশ্নে বিদ্ধ কেন্দ্র

আজ তৃণমূল সাংসদ মালা রায়ের প্রশ্নে শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গঙ্গোয়ার জানান, অসংগঠিত ক্ষেত্রে ২০১৭-১৮ সালে মোট কর্মীর ৬৮.৪% কাজ করছিলেন। ২০১১-১২ সালে তা ছিল ৭২.৫%।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০১৯ ০৪:০৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

সংসদ অধিবেশনের প্রথম দিনেই বাউন্সার! নোট বাতিলের পরে কি অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ কমেছে? উত্তরে আজ মোদী সরকার শ্রম ব্যুরো ও পরিসংখ্যান মন্ত্রকের তথ্য তুলে ধরে। তাতে স্পষ্ট, নোটবন্দির পরে অসংগঠিত ক্ষেত্রের সঙ্কোচন হয়নি। তবে কর্মী কমেছে। অর্থাৎ কাজ হারিয়েছেন অনেকেই। শ্রম মন্ত্রকের অবশ্য দাবি, শ্রম ব্যুরো ও পরিসংখ্যান মন্ত্রকের সমীক্ষা পদ্ধতি আলাদা। তা হয়েছে আলাদা ক্ষেত্রে। ফলে দুইয়ের তুলনা চলে না।

Advertisement

আজ তৃণমূল সাংসদ মালা রায়ের প্রশ্নে শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গঙ্গোয়ার জানান, অসংগঠিত ক্ষেত্রে ২০১৭-১৮ সালে মোট কর্মীর ৬৮.৪% কাজ করছিলেন। ২০১১-১২ সালে তা ছিল ৭২.৫%। অর্থনীতিবিদরা মনে করাচ্ছেন, টাকার অঙ্কে কিন্তু অর্থনীতিতে অসংগঠিত ক্ষেত্রের ভাগ দুই-তৃতীয়াংশই রয়েছে। শ্রমিক ব্যুরোর সমীক্ষাতেও প্রকাশ, জনসংখ্যার তুলনায় অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মী ২০১৫-১৬ সালে ছিল ৫০.৫%। কিন্তু পরিসংখ্যান মন্ত্রকের সমীক্ষায়, নোটবন্দির পরের বছর ২০১৭-১৮ সালে ওই হার ৪৬.৮ শতাংশে নামে।

ভোটের আগে কেন্দ্র এই তথ্য ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করলেও, সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হয়। নোটবন্দির পরে চার দশকে এই প্রথম দেশের মানুষ সংসারের মাসিক খরচ কমিয়েছেন বলে ফের পরিসংখ্যান মন্ত্রকের অধীন এনএসও-র সমীক্ষা ফাঁস হয়েছে। তার পরে সমীক্ষাটাই বাতিল করেছে কেন্দ্র। দেশ-বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা কেন্দ্রে কর্মরত ১০০ জনের বেশি অর্থনীতিবিদ ও পরিসংখ্যানবিদ আজ বিবৃতি দিয়ে এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানান। অভিযোগ, কেন্দ্রের বক্তব্যের সঙ্গে পরিসংখ্যান মিলছে না বলে এই প্রতিষ্ঠানের বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট করার চেষ্টা চলছে। এতে কেন্দ্রীয় হিসেবের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। তাঁদের দাবি, সরকার অবিলম্বে হিসেব প্রকাশ করুক।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement