GST

জিএসটি-বৈঠকে সুরাহার দাবি জানাবে বিরোধীরা

শুক্রবার জিএসটি পরিষদের বৈঠকের আগে বুধবার বিরোধী শাসিত সাতটি রাজ্যের অর্থমন্ত্রীরা নিজেদের মধ্যে ভিডিয়ো কনফারেন্স করেন

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০২১ ০৬:১৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

গত সাত মাসে জিএসটি পরিষদের কোনও বৈঠকই ডাকা হয়নি। তাই নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলির অর্থমন্ত্রীরা চাপ দেওয়ার পরে শুক্রবার অবশেষে হচ্ছে সেই বৈঠক। আর সেখানেই ওই সব রাজ্য এককাট্টা হয়ে এ বার পাঁচ দফা দাবি তুলতে চলেছে।

Advertisement

শুক্রবার জিএসটি পরিষদের বৈঠকের আগে বুধবার বিরোধী শাসিত সাতটি রাজ্যের অর্থমন্ত্রীরা নিজেদের মধ্যে ভিডিয়ো কনফারেন্স করেন। আলোচনা অনুযায়ী, কেন্দ্রের কাছে মূলত পাঁচটি দাবি তোলা হবে।

• জিএসটি ক্ষতিপূরণের সময়সীমা ২০২২ সালের পরেও বাড়ানো হোক।

Advertisement

• কেন্দ্রই ওই ক্ষতিপূরণ মিটিয়ে দিক। এর আগে তারা জিএসটি ক্ষতিপূরণ মেটাতে পারবে না-জানিয়ে রাজ্যগুলিকেই ঋণ নিতে বলেছিল।

• কোভিডের প্রতিষেধক, ওষুধ, অক্সিজেন এবং চিকিৎসার অন্যান্য সামগ্রীর উপরে জিএসটি-র হার শূন্য করে দেওয়া হোক।

• যে সব রাজ্যে ঘাটতির পরিমাণ বেশি, তাদের নিজেদের মতো রাজ্যের জিএসটি বা এসজিএসটি নির্ধারণ করতে দেওয়া হোক।

• অবিলম্বে বিরোধী শাসিত রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের মধ্যে কাউকে জিএসটি পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান নিযুক্ত করা হোক।

এতদিন কোনও পণ্যে ১২% জিএসটি চাপলে তা থেকে কেন্দ্র পেত ৬%, রাজ্য বাকি ৬%। এ বার যে সব রাজ্যের ঘাড়ে বিপুল রাজকোষ ঘাটতির বোঝা, তারা নিজেদের জন্য বাড়তি জিএসটি বসানোর দাবি তুলতে চাইছে। যাতে রাজ্য ৬ শতাংশের বদলে প্রয়োজন হলে ৮% কর আদায় করতে পারে। আজ পঞ্জাবের অর্থমন্ত্রী মনপ্রীত বাদল বলেন, “জিএসটি-তে যে পরিমাণ রাজস্ব মিলবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তার তুলনায় সব রাজ্যেরই রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ ২০ শতাংশের বেশি। এ দিকে তারা কর বসানোর যাবতীয় ক্ষমতা কেন্দ্রের হাতে তুলে দিয়েছে। তাই রাজ্যের জন্য নিজস্ব জিএসটি-র হার থাকা দরকার।”

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে প্রতিষেধক, ওষুধ, কোভিড চিকিৎসার যন্ত্রাংশ থেকে জিএসটি প্রত্যাহারের দাবি তুলেছিলেন। যা কার্যত খারিজ করে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের যুক্তি ছিল, সে ক্ষেত্রে টিকা বা ওষুধ সংস্থাগুলি কাঁচামালে মেটানো কর ছাড় পাবে না। এরপর রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র নির্মলাকে চিঠি দিয়ে বলেন, টিকা-ওষুধে জিএসটি-র হার শূন্য করে দেওয়া হোক। তা হলে কাঁচামালে মেটানো কর ছাড় মিলবে। আজ মনপ্রীত জানিয়েছেন, কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের অর্থমন্ত্রীরাও এটা মনে করেন। তাঁরা নীতিগত ভাবে পেট্রল-ডিজেলকেও জিএসটি-র আওতায় আনার পক্ষে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement