আদানি গোষ্ঠীর কর্তা গৌতম আদানি।
হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্টের পর থেকে আদানি গোষ্ঠীকে নিয়ে মোদী সরকারের উদ্দেশে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়িয়েছে বিরোধীরা। তাদের দাবি, মহারাষ্ট্রের মহাযুতি সরকারের আমলেও একের পর এক সুবিধা পেয়েছে গৌতম আদানি শিল্প গোষ্ঠী। বিধানসভা নির্বাচন ঘোষণার আগে আদানিদের বিভিন্ন প্রকল্পে সম্মতি দেওয়ার গতি বাড়িয়েছে এই সরকার। বিজেপি যার বৃহত্তম শরিক। আজ এই সংক্রান্ত অভিযোগ করে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশের বক্তব্য, সাধারণ মানুষ রাজ্য সরকারের এই কৌশল ধরে ফেলেছেন। ভোটের দিন তাঁরা এর জবাব দেবেন। উল্লেখ্য, ২০ নভেম্বর মহারাষ্ট্রে এক পর্যায়ে ভোটগ্রহণ। ফল ঘোষণা ২৩ তারিখ।
আজ এক্স-এ রমেশ লিখেছেন, ‘‘গত ১৫ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করে। তার আগের কয়েকটা দিন মোদানির (মোদী ও আদানি) হাতে বিভিন্ন প্রকল্প তুলে দিতে কার্যত ঝাঁপিয়ে পড়েছিল মহারাষ্ট্র সরকার। মহাযুতি সরকারের শেষ কয়েকটা দিনের কথা মনে করুন। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪: বেশি দামে মহারাষ্ট্রকে ৬৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহের বরাত পেল মোদানি। ৩০ সেপ্টেম্বর: ২৫৫ একর লবণাক্ত জমি হস্তান্তর করা হল তাদের। ১০ অক্টোবর: মাধে তাদের দেওয়া হল ১৪০ একর জমি। ১৪ অক্টোবর: দেওনারে আরও ১২৪ একর জমি দেওয়া হল তাদের।’’ রমেশের আরও বক্তব্য, ‘‘তবে মহারাষ্ট্রের সাধারণ মানুষ খেলাটা বুঝে গিয়েছেন। তাঁরা নিশ্চিত ভাবেই মহা বিকাশ আঘাড়ির পক্ষে ভোট দেবেন।’’