Indian Farmers

চাষিদের আয় কি দ্বিগুণ, হিসাব কষার তথ্যই নেই!

কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার বার্তা দিয়ে ২০১৬ সালের এপ্রিলে এ জন্য কী কী কৌশল নেওয়া দরকার তার সুপারিশ করতে আন্তঃমন্ত্রক গোষ্ঠী গঠন করেছিল সরকার। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে কমিটি তাদের রিপোর্ট দেয়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২৪ ০৭:৫৭
Share:

— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

ছ’বছরে দেশের কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্য ২০১৬ সালেই বেঁধেছিল মোদী সরকার। তা যে পূরণ হয়নি, সেই অভিযোগ তুলে কেন্দ্রকে তোপ দাগতে ছাড়েনি বিরোধীরা। এ বার সেই হিসাব পাওয়া নিয়ে ধোঁয়াশার ইঙ্গিত নীতি আয়োগের কর্তার গলায়। সরকারের পরামর্শদাতা সংস্থার অন্যতম সদস্য তথা কৃষি অর্থনীতিবিদ রমেশ চাঁদের বক্তব্য, চাষিদের আয় আদৌ দ্বিগুণ হয়েছে নাকি হয়নি, সেই হিসাব কষার পথে অন্তরায় পর্যাপ্ত তথ্যের অভাব! কারণ কৃষির বাইরে অন্য কাজের সূত্র থেকে তাঁদের আয় কত, সেই তথ্য বেশ কয়েক বছর ধরেই অমিল।

Advertisement

কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার বার্তা দিয়ে ২০১৬ সালের এপ্রিলে এ জন্য কী কী কৌশল নেওয়া দরকার তার সুপারিশ করতে আন্তঃমন্ত্রক গোষ্ঠী গঠন করেছিল সরকার। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে কমিটি তাদের রিপোর্ট দেয়। সেই সুপারিশ মেনে কাজের অগ্রগতিতে নজরদারির জন্য আবার উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠিত হয়।

রমেশ বলেন, ‘‘যাতে (কৃষি ক্ষেত্রে) আরও জোর দিই, সে জন্য চাষিদের আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্য নিয়েছিল কেন্দ্র। কতটা করা গিয়েছে, তার মূল্যায়ন হওয়া জরুরি। কিন্তু সব তথ্য আমাদের কাছে নেই।’’ তাঁর মন্তব্য, ২০১৮-১৯ সালে দেশের অনেক ছোট ও প্রাম্তিক চাষি কৃষি ক্ষেত্রের বাইরে অন্য কাজের সূত্রে বেশি আয় করতেন। কিন্ত ওই সময়ের পর থেকে তাঁদের সেই ভিন সূত্র আয়ের কোনও তথ্য সরকারের কাছে নেই। রমেশের কথায়, ‘‘সেই তথ্য থাকলে তবে স্পষ্ট ভাবে বোঝা যেত আমরা সেই লক্ষ্য পূরণ করতে পেরেছি নাকি পারিনি।’’

Advertisement

অন্য দিকে, কৃষকদের একাংশ আইনি ভাবে কৃষি পণ্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) স্থির করার দাবি করছেন। কিন্তু আয়োগের সদস্যের দাবি, তা আইনগত ভাবে স্থির করা সম্ভব নয়। এই ভাবনা কৃষি ক্ষেত্র ও কৃষকের স্বার্থেরও পরিপন্থী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement