রিলায়্যান্স জিয়ো সারা দেশে ধাপে ধাপে ৫জি পরিষেবা দেওয়ার জন্য ২ লক্ষ কোটি টাকা লগ্নির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। প্রতীকী ছবি।
মাস তিনেক আগে দেশে ৫জি স্পেকট্রাম নির্ভর টেলিকম পরিষেবার সূচনা হয়েছে। ধাপে ধাপে তা ছড়াচ্ছে বিভিন্ন প্রান্তে। সেই সঙ্গে টেলিকম শিল্প প্রসার ঘটাচ্ছে অন্যান্য পরিষেবাতেও। সব মিলিয়ে এই ক্ষেত্রে ২০২৩ সালে দেড় লক্ষ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগের সম্ভাবনা দেখছে সংশ্লিষ্ট মহল। তবে শিল্পের একাংশের মতে, সাম্প্রতিক নানা নীতিগত সংস্কারের ফলে ব্যবসা চালানোর চড়া খরচে কিছুটা সুরাহা হলেও ফের মাসুল বৃদ্ধির প্রয়োজন হতে পারে। কারণ, ৫জি পরিষেবার ব্যবসা থেকে এখনই সে ভাবে আয়ের সম্ভাবনা কম।
কেন্দ্রীয় টেলিকম সচিব কে রাজারামনের বক্তব্য, গত চার-পাঁচ বছর ধরে যে ৫জি পরিষেবার অপেক্ষায় ছিল দেশ, তা গত বছরে চালু হওয়া উল্লেখযোগ্য ব্যাপার। নতুন বছরে তার পরিসর আরও বাড়বে। তিনি বলেন, ‘‘আমজনতার সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে উদ্ভাবনী পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে আসার জন্য আমরা কেন্দ্র, রাজ্য, স্টার্ট-আপগুলিকে আহ্বান জানাচ্ছি।’’
রিলায়্যান্স জিয়ো সারা দেশে ধাপে ধাপে ৫জি পরিষেবা দেওয়ার জন্য ২ লক্ষ কোটি টাকা লগ্নির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তার মধ্যে প্রায় ৮৮,০০০ কোটি তারা খরচ করবে স্পেকট্রামের জন্য। যা মেটাবে ২০ বছরে। আর এ বছর বাকি ১.১২ লক্ষ কোটি টাকা ঢালবে তারা। ভারতী এয়ারটেল ২৭-২৮ হাজার কোটি টাকা লগ্নির কথা বলেছে। দেশীয় প্রযুক্তিতে ৪জি পরিষেবার জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিএসএনএলের খরচ করার কথা প্রায় ১৬,০০০ কোটি। ওই প্রযুক্তিকে উন্নততর করে তাদের ৫জি পরিষেবাও চালু করার কথা।
তবে গ্রাহকের কাছে নতুন পরিষেবার সুযোগ এলেও সার্বিক ভাবে মাসুল বৃদ্ধির আশঙ্কা থাকছে। এয়ারটেলের এক কর্তার দাবি, ৫জি পরিষেবা থেকে আয় বৃদ্ধির এখনই কার্যত কোনও উপায় নেই। বলতে গেলে ৪জি পরিষেবার কিছু গ্রাহকই ৫জির দিকে ঝুঁকছেন। তবে ৪জিতেই সেই সব পরিষেবা (ভিডিয়ো, গেমিং) মেলে। ৫জি-তে তার মান আরও উন্নত। ফলে মাসুল বাড়তে পারে।