তেল ও গ্যাস মন্ত্রকের আশ্বাস, ইয়াসের মোকাবিলা করতে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। —ফাইল চিত্র
মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত যা অবস্থা, তাতে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মূলত ওড়িশাতেই সব থেকে বেশি আঘাত হানবে বলে পূর্বাভাস। তবে এ রাজ্যের সংলগ্ন জেলা ও কলকাতায় তার ধাক্কায় বিদ্যুৎ, টেলিকমের পাশাপাশি জ্বালানি ক্ষেত্রে পরিষেবা ব্যহত হওয়ার আশঙ্কা দানা বাঁধছে। যদিও তেল ও গ্যাস মন্ত্রকের আশ্বাস, ইয়াসের মোকাবিলা করতে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। যেমন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় দ্রুত রান্নার গ্যাসের ‘বুকিং’-এর জোগান দেওয়া হবে। অন্যান্য পেট্রোপণ্যের সরবরাহের ক্ষেত্রেও সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।
তেল মন্ত্রক জানিয়েছে, সমস্ত শোধনাগার, বটলিং প্লান্ট ও বন্দরকে সতর্ক করা হয়েছে। পারাদীপ, হলদিয়া বন্দরে পেট্রোপণ্য নিয়ে আসা জাহাজগুলিকে সমুদ্রে নিরাপদ দূরত্বে থাকতে বলা হয়েছে। মন্ত্রকের দাবি, ডিলারদের কাছে পর্যাপ্ত পেট্রোপণ্য, সিএনজি, এলপিজি মজুত আছে। সব সংস্থার সদর ও ডিভিশনাল স্তরে বিপর্যয় মোকাবিলার কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। নিিশ্চত করা হয়েছে পূর্বাঞ্চল থেকে অক্সিজেন জোগানও।
অন্য দিকে, করোনাকালে এমন ঘূর্ণিঝড় যাতে টেলিকম ব্যবস্থাকে বিপর্যস্ত করে মানুষকে বিপদে ফেলতে না-পারে, সে জন্য আগেই পদক্ষেপের কথা জানিয়েছিল এই শিল্প। মঙ্গলবার টাওয়ার ও পরিকাঠামো সংস্থাগুলির সংগঠন টাইপার দাবি, কর্মীদের দ্রুত ও বাধাহীন ভাবে ঝড়ের কবলে পড়া পরিকাঠামো সারাতে যেতে দিতে হবে। তা নিশ্চিত করতে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার মুখ্যসচিবের কাছে চিঠি দিয়েছে সংগঠনটি।