রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। ফাইল চিত্র।
দু’মাস অন্তর বাজারের পরিস্থিতি অনুযায়ী দেশে সুদের হার ঠিক করতে বৈঠকে বসে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের ঋণনীতি কমিটি। খতিয়ে দেখে নগদের জোগান, মূল্যবৃদ্ধি-সহ অর্থনীতির নানা বিষয় এবং প্রয়োজনে পদক্ষেপ করে। সেই বৈঠক হওয়ার কথা ডিসেম্বরে। তার আগে বৃহস্পতিবার সকালে সম্পূর্ণ অন্য কারণে বিশেষ একটি বৈঠক করলেন ঋণনীতি কমিটির সদস্যেরা। উদ্দেশ্য, মূল্যবৃদ্ধিকে আরবিআই কেন ৬% লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে নামিয়ে আনতে পারল না, তার খসড়া জবাব তৈরি।
আরবিআই আইনেই আছে, টানা ন’মাস (তিনটি ত্রৈমাসিক) তারা মূল্যবৃদ্ধির লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হলে সরকারের কাছে তার কারণ জানিয়ে রিপোর্ট দিতে হবে। সেপ্টেম্বরে ওই হার ফের ৭.৪১% হতেই, জবাবদিহি নিশ্চিত হয়ে যায়। জানুয়ারি থেকে ন’মাস তা ছিল লক্ষ্যের উপরে। রিপোর্টে আগামী দিনে কী পদক্ষেপ করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে, সেই ব্যাখ্যাও দিতে হবে আরবিআইকে। নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে রিপোর্টের খসড়া তৈরি করতেই ডাকা হয় এ দিনের বৈঠক। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক বিবৃতি জারি করে সে কথা বলেছে। আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন ঋণনীতি কমিটির সদস্য— মাইকেল দেবব্রত পাত্র, রাজীব রঞ্জন, শশাঙ্ক ভিদে, অসীমা গয়াল এবং জয়ন্ত আর বর্মা।
২০১৬ সালে ঋণনীতি কমিটি মারফত সুদ ধার্য করার কাঠামো তৈরির পরে কেন্দ্রের কাছে জবাবদিহির এমন পরিস্থিতি কখনও আসেনি শীর্ষ ব্যাঙ্কের সামনে। শক্তিকান্ত আগেই জানিয়েছেন, রিপোর্টের বিষয়বস্তু আপাতত গোপন থাকবে। তা জনসমক্ষে আনার এক্তিয়ার তাঁর নেই। পরে প্রকাশ করা হতে পারে।