প্রতীকী ছবি।
দেশে বেকারত্ব বাড়ার অভিযোগে নাগাড়ে বিদ্ধ হচ্ছে মোদী সরকার। এই অবস্থায় সোমবার এমপ্লয়িজ় স্টেট ইনশিওরেন্স কর্পোরেশন (ইএসআইসি) জানাল, দেশে তাদের প্রকল্পে মোট ১২.২৩ লক্ষ নতুন সদস্য যোগ হয়েছে গত সেপ্টেম্বরে। অগস্টে তা ছিল ১৩.৩৮ লক্ষ। কর্মী প্রভিডেন্ট ফান্ডে (ইপিএফ) গত সেপ্টেম্বরে নিট নতুন সদস্য ৯.৯৮ লক্ষ। যা অগস্টে ছিল ৯.৪১ লক্ষ। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এই সব হিসেবকে নতুন চাকরির হিসেব বলে দাবি করে মোদী সরকার। যদিও বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, এর মধ্যে অসংগঠিত ক্ষেত্র থেকে সংগঠিত ক্ষেত্রে আসা কর্মীরাও থাকেন। সে কারণে কেন্দ্রের এই দাবি ঠিক নয়।
কেন্দ্রের ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্যাল অফিস (এনএসও) এ দিন তুলে ধরেছে, ইএসআইসি ও ইপিএফ কর্তৃপক্ষ পরিচালিত বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা প্রকল্পে যোগ দেওয়া নতুন সদস্যের পরিসংখ্যান। জানিয়েছে, ২০১৭-র সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৯-এর সেপ্টেম্বর, দু’বছরে ইএসআইসি-তে প্রায় ৩.১০ কোটি ঢুকেছেন। এর মধ্যে পড়ছে ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষের সাত মাসও। যে অর্থবর্ষের কর্মসংস্থান নিয়ে ন্যাশনাল স্যাম্পল সার্ভে দফতরের সমীক্ষা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। তাতে বলা হয় নোট বাতিলের পরের বছর, ২০১৭-১৮ সালে বেকারত্ব ৬.১% ছুঁয়েছিল। যা ৪৫ বছরে সর্বোচ্চ।
এনএসও বলেছে, ইএসআইসিতে ২০১৮-১৯ সালে যোগ দিয়েছেন ১.৪৯ কোটি। ২০১৭-র সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৮-র মার্চ পর্যন্ত তা ৮৩.৩৫ লক্ষ। অন্য দিকে, ইপিএফে ২০১৭-র সেপ্টেম্বর থেকে গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢুকেছেন নিট ২.৮৫ কোটি। সরকার অবশ্য মেনেছে, নতুন চাকরির তথ্য বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া। ফলে একই হিসেবে অন্যটি ঢুকে পড়তে পারে। ফলে এটিই নতুন চাকরির মোট সংখ্যা হিসাবের পরিপূর্ণ মাপকাঠি নয়।