—প্রতীকী ছবি
করোনার আগে থেকেই দেশের ব্যাঙ্কিং শিল্পের ঘাড়ে চেপেছিল বিপুল অনুৎপাদক সম্পদের (এনপিএ) বোঝা। তার উপরে লকডাউনে রুজি-রোজগারে টান পড়ায় ঋণ শোধেও সমস্যায় পড়ছেন অনেকে। সুরাহা দিতে কেন্দ্র ঋণের কিস্তি স্থগিতের সুবিধা এনেছিল ঠিকই। কিন্তু তার মেয়াদ শেষ হয়েছে অগস্টে। এই পরিস্থিতিতে মার্চের মধ্যে দেশে ব্যাঙ্কগুলির মোট এনপিএ ঋণের সাপেক্ষে ১০.১%-১০.৬% হতে পারে বলে মনে করে ইক্রা। আর মূল্যায়ন সংস্থাটির মতে, নিট এনপিএ-ও পৌঁছতে পারে ৩.১-৩.২ শতাংশে। সেপ্টেম্বরে ওই হার ছিল যথাক্রমে ৭.৯% এবং ২.২%।
ধার শোধ না-হলেও, পরবর্তী নির্দেশ না-পাওয়া পর্যন্ত কোনও ঋণকে অনুৎপাদক সম্পদ ঘোষণা করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ইক্রার মতে, বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হওয়া পর্যন্ত স্বল্প মেয়াদে এনপিএ বাড়বে বলেই ধরে নেওয়া যায়। তবে আগামী দিনে ঋণ শোধ বৃদ্ধির হাত ধরে তা নেমে আসবে। সে ক্ষেত্রে ২০২২ সালের মার্চে গিয়ে নিট অনুৎপাদক সম্পদ দাঁড়াতে পারে ২.৪-২.৬ শতাংশে।
সেই সঙ্গে যতটা মনে করা হয়েছিল, ঋণ পুনর্গঠনের জন্য তত আবেদন জমা পড়বে না বলেই ধারণা ইক্রার। তারা জানাচ্ছে, এর আগে মোট ঋণের ৫%-৮% পুনর্গঠনের জন্য দাবি জানাতে পারে বলে মনে করা হলেও, সেই পূর্বাভাস কমিয়ে ২.৫%-৪.৫% করেছে তারা। জানিয়েছে, টানা ছ’টি অর্থবর্ষে লোকসানের পরে ২০২১-২২ সালে সামগ্রিক ভাবে মুনাফার মুখ দেখতে পারে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি।