ফাইল চিত্র।
তথ্য যাচাইয়ের জন্য নানা ক্ষেত্রে আধুনিক ব্লকচেন প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়েছে বিশ্ব জুড়ে। এ বারে দেশে চায়ের গুণগত মান যাচাই ব্যবস্থায় আরও স্বচ্ছতা আনতে তা তৈরির সময়েও সেই প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখছে চা পর্ষদ (টি বোর্ড) এবং সংশ্লিষ্ট শিল্প মহল। বাজারে যে চা আসবে তা কোন বাগানের অথবা কোন কোন চা মিশিয়ে শেষ পর্যন্ত শেষ পণ্যটি তৈরি হয়েছে, সে সব তথ্য ব্লকচেন পদ্ধতিতে নথিবদ্ধ করে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছনো সম্ভব কি না, সেটাই দেখতে চায় তারা।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক চা দিবস উপলক্ষে টি বোর্ড এবং ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশন (আইটিএ) আয়োজিত সভায় এই শিল্পের পরিস্থিতি ও তার সমস্যা, ছোট চা চাষিদের চ্যালেঞ্জ-সহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। তাঁর ফাঁকেই পর্ষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান সৌরভ পাহাড়ি চা উৎপাদনে আরও স্বচ্ছতা আনার প্রশ্নে ব্লকচেন প্রযুক্তি ব্যবহারের ভাবনার বিষয়টি জানান। তাঁদের বক্তব্য, চা কোথায় ও কী ভাবে তৈরি হয়েছে, সেই প্রক্রিয়ার যতটা সম্ভব হদিস দিতেই বিভিন্ন পদ্ধতি খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, রফতানি বাজারে এই ধরনের তথ্যের স্বচ্ছতা অনেক ক্ষেত্রেই কার্যত বাধ্যতামূলক। ক্রেতারা চায়ের মান সম্পর্কে নিশ্চিত হতে সেই তথ্য চান।
বোর্ড-কর্তা এবং আইটিএ-র চেয়ারপার্সন নয়নতারা পালচৌধুরী চালু রফতানি বাজারের সঙ্গে সঙ্গে বিকল্প বাজারে চা রফতানিতে জোর দেন। সৌরভবাবুর দাবি, পরিচিতি রফতানি বাজারের স্বচ্ছন্দের জায়গা থেকে বেরোতে হবে। নজর দিতে হবে কানাডা, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশেও। সার্বিক ভাবেও চা রফতানি তিন বছরে ৩০ কোটি কেজিতে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়েছে বোর্ড। গত বছরে তা ছিল ১৯.৫ কোটি।
পাশাপাশি, সভায় প্রশ্ন ওঠে শ্রীলঙ্কার যা পরিস্থিতি তাতে তাদের অর্থোডক্স চা রফতানি ধাক্কা খাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেই বাজার ভারতীয় চা কতটা দখল করতে পারে? সৌরভবাবুর দাবি, এ দেশের চায়ের যা উৎপাদন ও গুণমান, তাতে সেই বাজার ধরা সম্ভব।
রফতানির সঙ্গে দেশেও চা পান বাড়ানোয় জোর দিচ্ছে শিল্প মহল। নয়নতারা ও বোর্ডের এগ্জ়িকিউটিভ ডিরেক্টর অরুণিতা ফুকন যাদব তরুণ প্রজন্মকে চা-পানে আকৃষ্ট করতে উদ্যোগী হওয়ার বার্তা দেন।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।