ফাইল চিত্র।
ইস্পাত ও সিমেন্ট শিল্পের বড় সংস্থাগুলিকে আগেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। আবারও দিলেন। খোদ পরিবহণমন্ত্রী নিতিন গডকড়ীর অভিযোগ, বাজারে পণ্য দু’টির দাম বাড়াতে জোট বেঁধেছে ওই সব সংস্থা। তাদের উপরে নজরদারির জন্য দু’ক্ষেত্রেই অবিলম্বে নিয়ন্ত্রক আনার সওয়াল করেছেন ক্ষুব্ধ নিতিন।
অতিমারির মধ্যেই ইস্পাত, সিমেন্টের দাম চড়েছে রকেট গতিতে। নিতিনের ইঙ্গিত, অতিরিক্ত মুনাফার লক্ষ্যে একযোগে দাম বাড়াচ্ছে বড় সংস্থাগুলি। এটা চললে পরিকাঠামো, আবাসন-সহ যে সব শিল্প ওই দুই পণ্যের উপর নির্ভরশীল, তাদের খরচ বাড়বে। লগ্নি ধাক্কা খাবে। কমবে লাভ। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে গডকড়ির তোপ, এই ধরনের অশুভ আঁতাতের কারণে ভারতের অর্থনীতিকে ৫ লক্ষ কোটি ডলারে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন পূরণ করাই কঠিন হবে। যার অঙ্গ হিসেবে পাঁচ বছরে পরিকাঠামোয় ১১১ লক্ষ কোটি টাকা লগ্নি করতে চায় কেন্দ্র।
আবাসন সংস্থাগুলি আগেই হাত মিলিয়ে দাম বাড়ানোর অভিযোগ তুলেছিল। তাদের আক্ষেপ, করোনার জেরে বিক্রি কমায় বিপর্যস্ত তারা। এর উপরে রাতের ঘুম কাড়ছে কাঁচামালের খরচ বিপুল বেড়ে যাওয়া।
জুন-নভেম্বরে ইস্পাতের দর ৫৫% বাড়ার পরে প্রধানমন্ত্রী ও ইস্পাতমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি দিয়েছিলেন নিতিন। সম্প্রতি ফের জানান, এই পণ্যগুলির সমস্যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর প্রিন্সিপাল সেক্রেটারির সঙ্গে কথা বলেছেন। মন্ত্রীর প্রশ্ন, সব ইস্পাত সংস্থার আকরিক লোহার খনি রয়েছে। কর্মীদের মজুরি, বিদ্যুৎ খাতেও খরচ বাড়েনি। তা হলে কেন দাম চড়ছে? আর সিমেন্ট সম্পর্কে মন্ত্রীর তোপ, পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছে তারা।