কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণমন্ত্রী নিতিন গডকড়ী। — ফাইল চিত্র।
দেশে জ্বালানির চাহিদার বড় অংশ আমদানি করতে হয় ভারতকে। খরচও বিপুল। তাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পরিবহণ ক্ষেত্রে বিকল্প জ্বালানির পক্ষে দীর্ঘদিন ধরেই সওয়াল করে আসছেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণমন্ত্রী নিতিন গডকড়ী। এ বার কৃষিজাত পণ্যের ব্যবহারে বৈচিত্র এনে তা বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজে লাগানোর পরামর্শ দিলেন তিনি।
শনিবার ‘ন্যাশনাল কোজেনারেশন’ শীর্ষক এক সভায় বিকল্প জ্বালানি ও বিদ্যুতের ব্যবহারের প্রসঙ্গ তোলেন গডকড়ী। তাঁর বার্তা, ভবিষ্যতের জ্বালানি প্রযুক্তির (ইথানল বা বৈদ্যুতিক ইঞ্জিনের মতো) ব্যবহার বাড়াতে বিকল্প জ্বালানিতে জোর দিক শিল্পমহল। তিনি মনে করিয়ে দেন, ভারতে প্রতি বছর অশোধিত তেল ইত্যাদি আমদানি করতে ১৫ লক্ষ কোটি টাকা খরচ হয়। তা কমাতেই কৃষিপণ্যের ব্যবহারে বৈচিত্র এনে জ্বালানি ক্ষেত্রে কাজে লাগানো দরকার।
উদাহরণ দিয়ে মন্ত্রী জানান, চিনির উৎপাদন কমিয়ে উপজাত তৈরিতে জোর দেওয়া যেতে পারে। যা ব্যবহার হতে পারে জ্বালানি তৈরিতে। তাঁর দাবি, দেশের জনসংখ্যার ৬৫%-৭০% কৃষির উপরে নির্ভরশীল হলেও ওই ক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার মাত্র ১২%-১৩%। তাই বিকল্প জ্বালানি বা বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কৃষিজাত পণ্যের বৈচিত্রে জোর দিতে হবে। যেমন দেশে চিনির চাহিদা এ বছর ২৮০ লক্ষ টন হলেও উৎপাদন হয়েছে ৩৬০ লক্ষ টন। তাই চিনি উৎপাদনে রাশ টেনে ইথানল তৈরির দিকে ঝুঁকতে হবে। পাশাপাশি কৃষিজাত বা শহরের বর্জ্য ব্যবহার করে প্রচলিত সিএনজির চেয়েও জৈব সিএনজি ব্যবহার করার কথাও বলেন তিনি। সে ক্ষেত্রে কৃষকেরা জ্বালানি উৎপাদনেও অবদান রাখতে পারবেন।