মোদী সরকারের দ্বিতীয় ইনিংসে নীতি আয়োগের প্রথম বৈঠক

৫ লক্ষ কোটি ডলার ছুঁতে অস্ত্র রফতানি

২০১৭ সালের শেষে দেশের জিডিপি ছিল ২.৫৯ লক্ষ কোটি ডলার। মোদীর দাবি, ২০২৪ সালের মধ্যে তা ৫ লক্ষ কোটি ডলারে নিয়ে যেতে চান তাঁরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০১৯ ০২:৪৬
Share:

নজরে অর্থনীতি: বৈঠকে মোদী, রাজনাথ ও রাজীব কুমার। পিটিআই

পাঁচ বছরের মধ্যে দেশের অর্থনীতির মাপ ৫ লক্ষ কোটি ডলারে (প্রায় ৩৪৫ লক্ষ কোটি টাকা) নিয়ে যাওয়া। শনিবার নিজের সরকারের দ্বিতীয় ইনিংসে নীতি আয়োগের প্রথম বৈঠকে রাজ্যগুলির সামনে এই লক্ষ্যই বেঁধে দিতে চাইলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর তার জন্য জোর দিতে বললেন মূলত দু’টি বিষয়ের উপরে। এক, একেবারে জেলা স্তর থেকে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়ানোয় জোর দেওয়া। আর দুই, পাখির চোখ করা রফতানিকে। যে কারণে সমস্ত রাজ্যকে এ বার নিজেদের রফতানির লক্ষ্যমাত্রা দ্বিগুণ করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

Advertisement

এ দিন প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন নীতি আয়োগের বৈঠকে কেন্দ্রের তরফে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান রাজীব কুমার প্রমুখ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ কয়েক জন বাদে উপস্থিত ছিলেন অধিকাংশ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। সেই আলোচনাতেই দেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন (জিডিপি) বৃদ্ধির এই স্বপ্ন ফেরি করেছেন মোদী।

২০১৭ সালের শেষে দেশের জিডিপি ছিল ২.৫৯ লক্ষ কোটি ডলার। মোদীর দাবি, ২০২৪ সালের মধ্যে তা ৫ লক্ষ কোটি ডলারে নিয়ে যেতে চান তাঁরা। সেই সূত্রেই রফতানি বৃদ্ধিকে পাখির চোখ করার কথা বলেছেন তিনি। জোর দিতে বলেছেন, একেবারে জেলা স্তর থেকে উৎপাদন বাড়ানোর উপরে।

Advertisement

কেন্দ্র কী ভাবে রাজ্যগুলিকে রফতানি বাড়ানোর কথা বলছে, তা স্পষ্ট রাজীব কুমারের কথায়। তিনি বলেন, ‘‘মহারাষ্ট্রের রফতানির লক্ষ্য ৪০ কোটি ডলার থেকে বাড়িয়ে ৮০ কোটি ডলার করতে বলা হয়েছে। একই ভাবে ত্রিপুরার রফতানির লক্ষ্য ৫০ লক্ষ ডলার থেকে বাড়িয়ে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে ১ কোটি ডলারে।’’ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের দাবি, উত্তরপ্রদেশে প্রতি জেলা থেকে একটি করে বিশেষ পণ্যকে বেছে নেওয়া হয়েছে। তার পরে সমস্ত রকম বন্দোবস্ত করা হচ্ছে তার রফতানি বৃদ্ধির জন্য।

ভোটে বিপুল জয় এলেও অর্থনীতি যে সমস্যায়, তা বুঝেছে মোদী সরকার। বিবর্ণ কাজের বাজারের ছবি। তা বদলাতেই এখন জিডিপিতে জোর বলে ধারণা অনেকের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement