প্রতীকী ছবি।
নজরদারি যে চলছে, সেই ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিল কেন্দ্র। মঙ্গলবার রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের দাবি, ডিজিটাল লোন বা নেটে ঋণ দেওয়ার সন্দেহজনক অ্যাপগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন তাঁরা। সেই তালিকায় বিদেশে তৈরি বিভিন্ন অ্যাপ যেমন রয়েছে, তেমনই আছে সেগুলি তৈরিতে সাহায্য করা ভারতীয় নাগরিকেরা। বেশিরভাগ ভুয়ো অ্যাপ নির্দিষ্ট একটি দেশে তৈরি বলেও জানান তিনি। তবে ইঙ্গিত কার দিকে, খোলসা করেননি। এর আগে জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার যুক্তিতে বেশ কিছু চিনা অ্যাপে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারত। এ দিন নির্মলা জানিয়েছেন, কর ফাঁকির অভিযোগে তিনটি চিনা মোবাইল সংস্থাকেও নোটিস পাঠিয়েছে সরকার। এগুলি হল ভিভো, শাওমি এবং ওপ্পো।
সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, বেআইনি ঋণ বণ্টনকারী অ্যাপের ক্ষেত্রেও সম্ভবত ইঙ্গিত চিনের দিকে। এ দিন সংসদে প্রশ্ন ছিল, চিনা সংস্থার তৈরি অ্যাপ মারফতই রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের নিয়ম ভেঙে নেটে ঋণ দেওয়া নিয়ে জালিয়াতি হচ্ছে কি না। জবাবে কোনও দেশের নাম নেননি অর্থমন্ত্রী। শুধু বলেছেন, এই ধরনের বেশিরভাগ অ্যাপের উৎস নির্দিষ্ট একটি দেশ। যেগুলি ভারতের অসংখ্য ঋণগ্রহীতার হয়রানি বাড়াচ্ছে এবং তাঁদের আর্থিক প্রতারণার ফাঁদে ফেলছে।
সম্প্রতি ডিজিটাল ঋণে হয়রানির শিকার হয়ে আত্মঘাতী হওয়ার বেশ কিছু অভিযোগ সামনে এসেছে। এতেই উদ্বেগ বেড়েছে। এর আগে ডিজিটাল ঋণ নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক গভর্নর শক্তিকান্ত দাসও।
এ দিকে, গত বছর থেকেই বিভিন্ন চিনা মোবাইল সংস্থার দফতরে দফায় দফায় তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি, সিবিআই-এর মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। খবর, সেই সূত্রেই ভিভো, শাওমি এবং ওপ্পোকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। নির্মলা জানান, এই সমস্ত সংস্থায় ফাঁকির যে অঙ্ক ধরা পড়েছে, তার সামান্যই তারা জমা করেছে। অভিযোগ, সব মিলিয়ে সংস্থাগুলি প্রায় ১০,০০০ কোটি টাকার করফাঁকি দিয়েছে।
ভিভোর সঙ্গে যুক্ত ১৮টি সংস্থা তদন্তকারীদের আতসকাচের তলায়। অভিযোগ, সংস্থাগুলি মারফত বিক্রির ১.২৫ লক্ষ কোটি টাকার একাংশ সরানো হয়েছে। ৬২,০০০ কোটি টাকা পাঠানো হয়েছে অন্য দেশে তাদের মূল সংস্থায়। মন্ত্রী জানান, দেশের টেলিকম শিল্পে যুক্ত পাঁচটি গোষ্ঠীর ক্ষেত্রে কর ফাঁকি ধরা পড়েছে এবং তাদের বিভিন্ন দফতরে তল্লাশি চালানো হয়েছে।