অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন
বিরোধীদের অভিযোগ, দেশের অর্থনীতির আকাশে মন্দার আশঙ্কা ঘনাতে দেখেও মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছে মোদী সরকার। তবে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে কেন্দ্র যে মরিয়া, তার ইঙ্গিত স্পষ্ট। এরই অঙ্গ হিসেবে শিল্পের ঋণ পাওয়ার পথ সহজ করতে সোমবার সমস্ত ব্যাঙ্কের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে দিল্লিতে বৈঠকে বসছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, সাম্প্রতিক অতীতে এই প্রথম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের পাশাপাশি বেসরকারি ব্যাঙ্কের প্রধানদেরও আলোচনার টেবিলে ডাকা হচ্ছে। যা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
সরকারি সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে আলোচনা হতে পারে ব্যাঙ্ক-ঋণের পথ মসৃণ করা নিয়ে। উঠতে পারে কিছু ক্ষেত্রে বাড়তি ঋণ জোগাতে সেগুলিকে অগ্রাধিকারের তালিকায় নিয়ে আসার প্রসঙ্গও।
এ দিনই অবশ্য রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বাড়তি ভাঁড়ারে ভাগ বসানোর চেষ্টা নিয়ে কেন্দ্রকে একহাত নেন শীর্ষ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর ডি সুব্বারাও। তিনি বলেন, ‘‘বিশ্বের কোনও দেশের পক্ষেই এটা ভাল নয়। এই প্রবণতা থেকে বোঝা যায় যে, সরকার কতটা মরিয়া।’’ ভাঁড়ার থেকে শেষ পর্যন্ত কত টাকা রাজকোষে ঢুকছে, তা নিয়ে সতর্ক থাকার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।
বেহাল আবাসন শিল্পে প্রাণ ফেরাতে অর্থ মন্ত্রক এ দিন বিবৃতিতে জানিয়েছে, ন্যাশনাল হাউসিং ব্যাঙ্ক আবাসনে ঋণদাতা সংস্থাগুলির জন্য ১০,০০০ কোটি টাকার ব্যবস্থা করছে। কম দামি আবাসন কেনার জন্য ঋণ দিতেই এই পদক্ষেপ।
গতকাল রাহুল গাঁধী অর্থমন্ত্রীকে অযোগ্য বলেছিলেন। আজ মন্ত্রকের দাবি, অর্থমন্ত্রী রোজ সমস্ত সচিব, মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করছেন। আগামী সপ্তাহে ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্প, তথ্যপ্রযুক্তি, গ্রামোন্নয়ন, বাণিজ্য মন্ত্রকের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বসবেন। কথা হবে ছোট শিল্পের উন্নতিতে ইউ কে সিনহা কমিটি প্রস্তাব অনুযায়ী একশোর বেশি পদক্ষেপ নিয়েও।