Nirmala Sitharaman

আমেরিকাকে জবাব দিতেই করের ব্যাখ্যা নির্মলার

মূলত সঙ্ঘ পরিবারের চাপেই ২০২০ সালের বাজেটে বিদেশি ই-কমার্স সংস্থাগুলির উপরে ২% ‘ইকুয়ালাইজ়েশন লেভি’ বা ডিজিটাল পরিষেবা কর (ডিএসটি) বসায় সরকার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২১ ০৫:৩২
Share:

অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ফাইল চিত্র।

গত বছরের বাজেটে মোদী সরকার বিদেশি ই-কমার্স সংস্থাগুলির উপরে বাড়তি কর চাপানোয় আমেরিকা প্রবল আপত্তি তুলেছিল। মঙ্গলবার লোকসভায় অর্থবিল পাশের সময় সংশোধনী এনে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানালেন, ভারতীয় নাগরিক কিংবা সংস্থা এবং বিদেশি সংস্থার এ দেশে স্থায়ী প্রতিষ্ঠান যে সমস্ত পণ্য বা পরিষেবা বিক্রি করবে, সেখানে এই কর প্রযোজ্য হবে না।

Advertisement

মূলত সঙ্ঘ পরিবারের চাপেই ২০২০ সালের বাজেটে বিদেশি ই-কমার্স সংস্থাগুলির উপরে ২% ‘ইকুয়ালাইজ়েশন লেভি’ বা ডিজিটাল পরিষেবা কর (ডিএসটি) বসায় সরকার। মূলত বড় মাপের বিদেশি সংস্থাগুলির উপরেই এই কর চাপানো হয়। কিন্তু তাতে চটে যায় আমেরিকা। একে আমেরিকার সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক নীতি আখ্যা দিয়ে ভারতের রফতানির উপরে শুল্ক ছাড় তুলে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেয়। সে দেশের প্রশাসনিক কর্তাদের যুক্তি ছিল, আমেরিকার ৭২% সংস্থাই এই করের কোপে পড়বে ও লোকসান গুনতে বাধ্য হবে।

আজ অর্থমন্ত্রীর ব্যাখ্যা, সরকার ভারতে ডিজিটাল ব্যবসারই পক্ষে। কিন্তু এ দেশে কর মেটানো ভারতীয় সংস্থা এবং এ দেশে ব্যবসা করলেও কোনও কর না-মেটানো বিদেশি সংস্থাগুলির মধ্যে ভারসাম্য তৈরির জন্য এই কর চাপানো হয়েছে। অর্থাৎ বৈষম্য তৈরি নয়, বৈষম্য রোখাই এর উদ্দেশ্য। বিদেশি সংস্থাগুলি এ দেশে স্থায়ী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ব্যবসা করে আয়কর দিলেই ডিজিটাল পরিষেবা করের বাড়তি বোঝা চাপবে না।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement