২০১৯ সালে প্রথমবার এই ছাড়ের ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র।
গত কয়েকটি অর্থবর্ষে পাওয়া গৃহঋণের উপরে বাড়তি কর ছাড়ের সুবিধা আর মিলবে না। গত সাধারণ বাজেটের সময়েই সেটা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এপ্রিল মাস থেকে শুরু হওয়া অর্থবর্ষে আয়করের ৮০ইইএ ধারায় ছাড় আর পাবে না মধ্যবিত্ত।
মধ্যবিত্তের গৃহঋণের ক্ষেত্রে একটি অতিরিক্ত কর ছাড়ের সুবিধা বছর কয়েক আগে চালু করেছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে বাজেটে প্রথমবার বাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনার জন্য ব্যাঙ্কঋণের উপরে বাড়তি কর ছাড়ের যে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল, সেটি পরের অর্থবর্ষেও চালু ছিল। কিন্তু গত বাজেটে তা নিয়ে কোনও কথাই বলেননি অর্থমন্ত্রী। তখনই অনেকে আঁচ করেছিলেন মধ্যবিত্তকে দেওয়া সুবিধা বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। মনে করা হচ্ছে, শুধু যাঁরা বাড়ি বা ফ্ল্যাট কিনবেন তাঁদের ক্ষেত্রেই নয়, এটা ধাক্কা দেবে বিক্রেতাদেরও। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ধাক্কা খেয়েছিল আবাসন শিল্প। এখন পরিস্থিতি যখন স্বাভাবিক হওয়ার পথে তখন আয়করের বাড়তি সুবিধা উঠে যাওয়ায় ক্রেতারাও বিমুখ হতে পারেন।
এই প্রকল্পটির পোশাকি নাম অ্যাফর্ডেবল হাউজিং প্রোজেক্ট বা সস্তার আবাসন প্রকল্প। নিয়ম ছিল, প্রথমবারের জন্য কোনও বাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে ৪৫ লক্ষ টাকার কম গৃহঋণে অতিরিক্ত দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়কর ছাড় পাওয়া যাবে। সেই সুযোগ পেতে আয়কর রিটার্নে নতুন বাড়ি কেনার তথ্য দিতে হত। ২০১৯ থেকে ২০২১—টানা তিন বছর এই প্রকল্প চলছে। তবে স্থায়ীভাবে নয়। প্রতি বছর আলাদা করে প্রকল্পটির মেয়াদ বাড়ানো হয়। ২০২১-২২ অর্থবর্ষের বাজেটেও প্রকল্পটির ঘোষণা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী। আশা করা হয়েছিল, এ বারও প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হবে। কিন্তু সেই পথে হাঁটেননি অর্থমন্ত্রী। ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে বাজেট বক্তৃতায় এই নিয়ে কোনও কথাই বলেননি তিনি। ফলে গত ৩১ মার্চ শেষ হয়ে গিয়েছে প্রকল্পটির মেয়াদ। সুতরাং, এখন যাঁরা বাড়ি বা ফ্ল্যাট কিনতে ঋণ নেবেন তাঁরা আর সেই সুযোগ পাবেন না।
তবে বাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনা না হলেও যে সব গ্রাহকের ঋণের অনুমোদন গত ৩১ মার্চ বা তার আগে হয়ে গিয়েছে তাঁরা এই প্রকল্পের সুযোগ পাবেন। ৮০ইইএ ধারায় কর ছাড়ের জন্য আবেদন করতে পারবেন।