প্রতীকী ছবি।
এপ্রিল-জুনে জিডিপির ২৩.৯% সঙ্কোচনের পরে অতিমারির ধাক্কায় আহত অর্থনীতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকেও কমেছে ৭.৫%। যার জেরে মন্দার বৃত্তে ঢুকে পড়েছে দেশ। কিন্তু এর মধ্যেও আশার আলো দেখছে কেন্দ্র। নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান রাজীব কুমারের মতে, জুলাই-সেপ্টেম্বরের পরিসংখ্যানেই পরিষ্কার যে, অর্থনীতি করোনার আক্রমণ থেকে বার হয়ে আসছে। তৃতীয় ত্রৈমাসিকে জিডিপি গত অর্থবর্ষের ওই সময়ের সমান হতে পারে। আর জানুয়ারি-মার্চে তা ফের ঢুকে পড়বে বৃদ্ধির গণ্ডিতে।
যদিও অনেকে মনে করাচ্ছেন, অর্থনীতির বিভিন্ন পরিসংখ্যান এখনও আশাজনক নয়। এমনকি বুধবার সরকারি পরিসংখ্যানই জানিয়েছে, বিদেশে চাহিদা কমার হাত ধরে গত মাসে রফতানি ৯% কমে হয়েছে ২৩৪৩ কোটি ডলার। আমদানি ১৩.৩৩% কমে নেমেছে ৩৩৩৯ কোটিতে। ফলে বাণিজ্য ঘাটতি হয়েছে ৯৯৬ কোটি ডলার। এপ্রিল থেকে নভেম্বরে রফতানি ধাক্কা খেয়েছে ১৭.৮৪%। তার উপরে করোনার আক্রমণের আগে থেকেই ঝিমোচ্ছিল অর্থনীতি। কমছিল চাহিদা। ফলে গত বছরের কম ভিতের উপরে দাঁড়িয়েও যখন জিডিপি এতটা ধাক্কা খেয়েছে, তখন তাকে কোনও ভাবেই অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানো বলা চলে না।