ফাইল চিত্র।
অতিমারির ধাক্কা কাটিয়ে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বলে বারবারই দাবি করছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। যুক্তি, বাজারে চাহিদা ফেরার হাত ধরেই তা সম্ভব হচ্ছে। সেই দাবিকেই প্রশ্নের মুখে ফেলল ইউবিএস সিকিউরিটিজ় ইন্ডিয়ার রিপোর্ট। যেখানে বলা হয়েছে, করোনা এবং তা যুঝতে হওয়া লকডাউনে বিপুল সংখ্যক মানুষ কাজ খোয়ানোয় দেশে গৃহস্থেরা হারিয়েছেন মোট ১৩ লক্ষ কোটি টাকার আয়। যার জেরে আগামী কয়েক মাসে চাহিদা আবার ঝিমিয়ে পড়তে পারে। আর সেটা হলে বছরের মাঝামাঝি গিয়ে অর্থনীতি ফের কঠিন সময়র সামনে পড়বে বলেও আশঙ্কা সংস্থাটির।
চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে মূলত লকডাউনের কারণেই ভারতের জিডিপি তলিয়ে গিয়েছিল ২৩.৯%। পরের ত্রৈমাসিকেও তা কমে ৭.৫%। তবে অক্টোবর-ডিসেম্বরে ০.৪% বৃদ্ধির মুখ দেখেছে অর্থনীতি। সংস্থাটির অর্থনীতিবিদ তনভি গুপ্ত জৈনের মতে, এই বৃদ্ধি বজায় থাকা নির্ভর করবে চাহিদা কতটা বাড়ে তার উপরে। কিন্তু যেখানে ১৩ লক্ষ কোটির আয়ই হারিয়েছে সেখানে তা আদৌ বাড়বে কি না সেটা নিয়ে সন্দেহ থাকছে।
রিপোর্ট বলছে, তার উপরে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ত্রৈমাসিকে যে চাহিদা বৃদ্ধির ছবি দেখা যাচ্ছিল, তা মূলত করোনার আগের এবং লকডাউনের সময়ে জমে থাকা চাহিদা। ফলে সেটাও বজায় থাকবে বলা যাচ্ছে না। তা থমকানোর কিছুটা ইঙ্গিতও মিলছে। ফলে অর্থনীতি ফের কঠিন সময়ের মুখে পড়তে পারে বলে মনে করছে তারা।
যদিও শুক্রবার অর্থ মন্ত্রকের পেশ করা মাসিক রিপোর্টে দাবি, করোনার প্রতিষেধক দেওয়ায় গতি আসা, চাহিদা বৃদ্ধি এবং সংক্রমণ কমার হাত ধরে চলতি অর্থবর্ষে জিডিপি সঙ্কোচনের হার ৮ শতাংশের চেয়ে কম হবে। যে পূর্বাভাস সম্প্রতি অর্থনীতির পরিসংখ্যান প্রকাশ করতে গিয়ে জানিয়েছিল খোদ সরকারই।