প্রতীকী ছবি।
সপ্তাহের শুরুতেই সংসদে পাশ হয়েছে সাধারণ বিমা ব্যবসা (জাতীয়করণ) আইন, ১৯৭২-এর সংশোধনী। যার প্রতিবাদে বুধবার দেশ জুড়ে ধর্মঘট পালন করলেন রাষ্ট্রায়ত্ত সাধারণ বিমা সংস্থার কর্মীরা। আরএসএস-এর সমর্থক বিএমএস অনুমোদিত ইউনিয়ন-সহ এই শিল্পের মোট ১৮টি ইউনিয়নের যৌথ মঞ্চ এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল। প্রায় ৭০,০০০ কর্মী এবং অফিসার তাতে অংশ নেন বলে দাবি তাদের। কলকাতা-সহ এ রাজ্যেও সাধারণ বিমা সংস্থার সিংহভাগ দফতরেই এ দিন কাজ হয়নি বলে জানিয়েছে সংগঠনগুলি।
ইউনিয়নগুলির অভিযোগ, এই সংশোধনীর জেরে বাধ্যতামূলক ভাবে রাষ্ট্রায়ত্ত সাধারণ বিমা সংস্থায় কমপক্ষে ৫১% অংশীদারি রাখতে হবে না কেন্দ্রকে। ফলে আরও চওড়া হবে তাদের বেসরকারিকরণের রাস্তা। উপরন্তু বেসরকারি সংস্থার হাতে রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থার রাশ গেলে আদতে ভুগবেন সাধারণ মানুষ। যাঁদের অনেকেই এই সব সংস্থার মাধ্যমে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় বিমা প্রকল্পে লগ্নি করেন।
ধর্মঘট প্রসঙ্গে জেনারেল ইনশিয়োরেন্স এমপ্লয়িজ় ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সাধারণ বিমা শিল্পের কর্মীদের আশঙ্কা, সংস্থাগুলিকে পুরোপুরি বিক্রি করে দেওয়ার রাস্তাই ওই সংশোধনীর মাধ্যমে খুলে দিল কেন্দ্র।’’ অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের যদিও দাবি, সংস্থা বিক্রি করা নয়, তার শেয়ার বেচে মূলধন সংগ্রহ করাই সংশোধনীর লক্ষ্য। তবে ইউনিয়নগুলির বক্তব্য, বিশেষ করে যখন রাষ্ট্রায়ত্ত দু’টি ব্যাঙ্ক এবং একটি সাধারণ বিমা সংস্থা বিক্রির কথা এ বারের বাজেটেই অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করে রেখেছেন, তখন বিক্রির আশঙ্কা থাকছেই। আর সেই কারণেই এ দিনের ধর্মঘটকে পুরোমাত্রায় সমর্থন করেছে ব্যাঙ্ক ইউনিয়নগুলিও। চালিয়েছে টুইটে প্রচার। ব্যাঙ্ককর্মীদের সংগঠন এআইবিইএ-র সভাপতি রাজেন নাগর এবং অফিসারদের সংগঠন আইবকের রাজ্য সম্পাদক সঞ্জয় দাস বলেন, ‘‘ব্যাঙ্ক এবং বিমা সংস্থা বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে প্রয়োজনে দুই শিল্পের কর্মী এবং অফিসারেরা যৌথ ভাবে আন্দোলনে নামবেন।’’ রাজেনবাবু বলেন, ইতিমধ্যেই সংগঠনের জেনারেল কাউন্সিলে যৌথ আন্দোলনের প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন তাঁরা।