ফসলের দামে আস্থা বাজারেই

মোদী সরকারের দাওয়াই, ফসল ও আনাজের দাম বাজারের হাতে ছাড়তে হবে। তবেই চাষিরা ভাল দাম পাবেন। 

Advertisement

প্রেমাংশু চৌধুরী

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০১৯ ০৫:০৫
Share:

ভোটে বড় জয় এলেও কৃষকদের সমস্যা যে তেমন কমেনি তা ভালই জানেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাই তাঁদের হাতে ফসলের দাম তুলে দিতে দ্বিতীয় দফার শুরু থেকেই উদ্যোগী হতে চান তিনি। মোদী সরকারের দাওয়াই, ফসল ও আনাজের দাম বাজারের হাতে ছাড়তে হবে। তবেই চাষিরা ভাল দাম পাবেন।

Advertisement

১৫ জুন নীতি আয়োগের পরিচালন পরিষদের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীদের মুখোমুখি হবেন মোদী। সূত্রের খবর, সেখানে ওই মন্ত্রই দিতে চান তিনি।

২০২২ সালের মধ্যে চাষিদের আয় দ্বিগুণ করতে চান মোদী। সরকারি সূত্রের খবর, সেই লক্ষ্যের যতটা সম্ভব কাছাকাছি পৌঁছতে দু’টি বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের সাহায্য চাইবেন তিনি। এক, কৃষিপণ্য বাজার কমিটি (এপিএমসি) আইন সংস্কার। দুই, অত্যাবশকীয় পণ্য আইন সংস্কার।

Advertisement

কেন্দ্রের ভাবনা

*কৃষিপণ্য বাজার কমিটি আইনে সংস্কার।

*বাজার কমিটির নিয়ন্ত্রণ ছাড়াও দেশে মান্ডি বা পাইকারি বাজার।

*চাষিদের ইচ্ছে মতো ফসল বেচার সুযোগ।

*চুক্তি চাষ করে বেসরকারি সংস্থাকে ফসল বেচা।

*অত্যাবশ্যকীয় পণ্য

*আইনে সংস্কার।

*খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও কৃষিজাত পণ্যের বিপণন শিল্পের জন্য কৃষিপণ্য মজুতে কড়াকড়ি শিথিল।

সম্প্রতি সব চাষিকেই আনা হয়েছে পিএম-কিসান প্রকল্পের আওতায়। কিন্তু নীতি আয়োগ ও কৃষি মন্ত্রকের কর্তারা বলছেন, চাষিদের আয় বাড়াতে হলে ফসলের ভাল দাম পাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এ জন্য এপিএমসি আইনের সংস্কার প্রয়োজন। কৃষি রাজ্যের বিষয়। তাই কেন্দ্রকে রাজ্যের দ্বারস্থ হতেই হচ্ছে। কেন্দ্রের যুক্তি, এপিএমসি বা বাজার কমিটির নিয়ন্ত্রিত মান্ডিতে চাষিদের ফসল বেচতে হয়। সেখানে নথিভুক্ত ব্যবসায়ীরা যোগসাজশে দাম ঠিক করেন। তাই মান্ডির বাইরেও ফসল কেনাবেচার সুযোগ দেওয়া হোক চাষিদের।

সর্বভারতীয় কিসান সভার সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লা বলেন, ‘‘এপিএমসি আইনে চাষিদের সুবিধা হয়নি, তা স্পষ্ট। কিন্তু বাজারে নিয়ন্ত্রণ থাকাও জরুরি। কেন্দ্র কী ধরনের বদল আনতে চাইছে সেটা আসল।’’ কৃষক সংগঠনের নেতাদের যুক্তি, অনেক রাজ্যে এপিএমসি আইনে নিয়ন্ত্রণ তোলা হলেও চাষিদের লাভ হয়নি।

কৃষিতে বেসরকারি লগ্নি টানতে অত্যাবশ্যকীয় ফসল বা খাদ্যশস্য মজুতের উপরে যে নিয়ন্ত্রণ রয়েছে, তাতেও বদল জরুরি বলে কৃষি মন্ত্রকের মত। কালোবাজারি রুখে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই আইন চালু হয়েছিল। কিন্তু সংস্থাগুলিকে যথেষ্ট পরিমাণ খাদ্যশস্য মজুত করতে হয়। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইনে তা আটকে যাচ্ছে।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement