রতন টাটা ও মুকেশ অম্বানী। ফাইল ছবি।
রতন টাটার প্রয়াণে শোকস্তব্ধ শিল্পমহল। শোকবার্তা পাঠায়েছেন রিলায়েন্স গোষ্ঠীর কর্ণধার মুকেশ অম্বানী। সেখানে তিনি লেখেছেন, ‘‘ভারত ও ভারতের শিল্পজগতের এটা একটা দুঃখের দিন। রতন টাটার চলে যাওয়া অপূরণীয় ক্ষতি। সেটা শুধুমাত্র টাটা গ্রুপের জন্য নয়। প্রত্যেক ভারতবাসীর জন্যেও।’’
এর পর ব্যক্তিগত স্তরে শিল্পপতি টাটার সঙ্গে তাঁর কেমন সম্পর্ক ছিল, শোকবার্তায় তা তুলে দিয়েছেন দেশের ধনীতম ব্যক্তি মুকেশ অম্বানী। ‘‘ব্যক্তিগতভাবে রতন টাটার চলে যাওয়ায় আজ আমি ভারাক্রান্ত। কারণ, আজ আমি প্রিয় বন্ধুকে হারিয়েছি। তাঁর সঙ্গে প্রতিটা আলাপচারিতাই আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে, উজ্জীবিত করেছে। তাঁর মধ্যে ছিল সূক্ষ্ম মানবিক মূল্যবোধ। যা তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা আরও বাড়িয়ে দিত।’’ শোকবার্তায় লিখেছেন অম্বানী গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান।
পাশাপাশি, রতন টাটাকে দূরদর্শী শিল্পপতি বলে উল্লেখ করেছেন মুকেশ অম্বানী। তাঁর কথায়, সমাজের বৃহত্তর মঙ্গলের জন্য তিনি লড়াই করে গিয়েছেন। এ ছাড়া শোকবার্তায় রতন টাটাকে ভারত মায়ের ‘দয়ালু সন্তান’ বলেও উল্লেখ করেছেন রিলায়েন্স গোষ্ঠীর কর্ণধার।
‘‘ভারত তার সবচেয়ে খ্যাতিমান ও দয়ালু সন্তানদের মধ্যে একজনকে হারিয়েছে। রতন টাটা দেশকে বিশ্ব মঞ্চে নিয়ে গিয়েছেন। বিশ্বের সেরাটা আবার ভারতে নিয়ে এসেছেন। তিনি ‘হাউস অফ টাটা’-কে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছেন। ১৯৯১ সালে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে টাটা গ্রুপ কলেবরে ৭০ বারের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। এবং এটি একটি আন্তর্জাতিক শিল্প সংস্থায় পরিণত হয়েছে।’’ শোকবার্তায় লিখেছেন মুকেশ অম্বানী।
রিলায়েন্স গোষ্ঠীর তরফ থেকে আম্বানি পরিবার, মুকেশ পত্নী নীতা কথাও শোকবার্তায় লেখা হয়েছে। টাটা পরিবারের শোকাহত সদস্য ও টাটা গোষ্ঠীকে আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছেন মুকেশ অম্বানী। একেবারে শেষে লিখেছেন, ‘‘রতন, তুমি সবসময়ে আমার হৃদয়ে থাকবে। ওম শান্তি।’’
অন্য দিকে শোকজ্ঞাপন করেছেন আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধার গৌতম আদানিও। এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক টুইটার) করা পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘‘ভারত একজন বিরাট স্বপ্নদর্শী মানুষকে হারাল। যিনি আধুনিক ভারতের পথকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করেছিলেন। রতন টাটা শুধু একজন শিল্পপতি নন। সততা, সহানুভূতি ও বৃহত্তর স্বার্থের প্রতি অটল প্রতিশ্রুতি থাকায় দেশের চেতনাকে তিনি মূর্ত করতে পেরেছিলেন। তাঁর মতো কিংবদন্তীরা কখনই ম্লান হন না।’’
সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে শোকবার্তা দিয়েছেন মাহিন্দ্রা গ্রুপের চেয়ারম্যান আনন্দ মাহিন্দ্রা। ‘‘রতন টাটার অনুপস্থিতি মেনে নিতে পারছি না। ভারতের অর্থনীতি ঐতিহাসিকভাবে বড় জায়গায় যাওয়ার চূড়ান্ত সীমায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। আমাদের এই অবস্থানে পৌঁছনো রতন টাটার জীবন ও কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এই সময়ে তাঁর পরামর্শ অমূল্য হত। যার অভাব অনুভব করছি।’’ এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন তিনি।