Jairam Ramesh

ইঞ্জিন লাইনচ্যুত, তোপ কেন্দ্রকে

কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশের দাবি, ইউপিএ জমানায় এই দুই ‘ইঞ্জিন’ অর্থনীতিকে শক্তি জোগাচ্ছিল। এখন তা ‘লাইনচ্যুত’।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৪ ০৭:৩৮
Share:

কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ। —ফাইল ছবি।

সাধারণ মানুষের আয় এক জায়গায় আটকে থাকায় বাজারে চাহিদার অভাব এবং বেসরকারি লগ্নির থমকে যাওয়া— মূলত এই দুই কারণে মোদী জমানায় অর্থনীতি সঙ্কটে পড়েছে, অভিযোগ কংগ্রেসের। দলের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশের দাবি, ইউপিএ জমানায় এই দুই ‘ইঞ্জিন’ অর্থনীতিকে শক্তি জোগাচ্ছিল। এখন তা ‘লাইনচ্যুত’। অর্থনীতিকে লাইনে ফেরাতে নির্বাচনের সময়ে কংগ্রেসের ‘ন্যায় পত্রে’ দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলি রূপায়ণ করুক কেন্দ্র। ১০০ দিনের কাজের মজুরি বাড়িয়ে অন্তত ৪০০ টাকা করুক। কৃষকদের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের নিশ্চয়তার সঙ্গে ঋণ মকুব করুক। মহিলাদের দিক মাসিক আর্থিক সহায়তা। এতে গ্রামে আয় বাড়াবে। না হলে আরও কমবে চাহিদা।

Advertisement

রবিবার নাবার্ডের ‘অল ইন্ডিয়া রুরাল ফিনান্সিয়াল ইনক্লুশন সার্ভে ২০২১-২২’-র কিছু তথ্য তুলে রমেশ দেখান, ওই বছর দেশে কৃষি নির্ভর পরিবারের মাসিক আয় ছিল ১২,৬৯৮-১৩,৬৬১ টাকা। বাকি গ্রামীণ পরিবারের ১১,৪৩৮ টাকা। পরিবারের গড় আয়তন ৪.৪ ধরলে গ্রামাঞ্চলে মাথাপিছু মাসিক আয় ২৮৮৬ টাকা। দৈনিক ১০০ টাকারও কম। ফলে প্রয়োজন মিটিয়ে খুব কম মানুষের বাড়তি পুঁজি তাকে। অধিকাংশের ১০ বছর আগের থেকে ক্রয়ক্ষমতা কমেছে। যা চাহিদা কমার এবং লগ্নিতে খরার কারণ।

রমেশের বক্তব্য, লেবার ব্যুরোর মজুরি সূচক অনুযায়ী, ২০১৪-২০২৩ সালে শ্রমিকদের প্রকৃত মজুরি থমকে। বস্তুত, ২০১৯-২০২৪ সালে তা কমেছে। কৃষি মন্ত্রকের হিসাবই বলছে, ইউপিএ জমানায় কৃষি মজুরি বৃদ্ধি ছিল ৬.৮%। মোদী আমলে তা ১.৩% সঙ্কুচিত।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement