আধারের ভিত্তিতে আর্থিক লেনদেন-সহ নানা পরিষেবা দেওয়ার পরিধি ক্রমশ বাড়ছে। প্রতীকী ছবি।
আধারের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের তথ্য যাচাই করে আর্থিক লেনদেন-সহ নানা পরিষেবা দেওয়ার পরিধি ক্রমশ বাড়ছে। কিন্তু আধার কর্তৃপক্ষ (ইউআইডিএআই) স্বীকার না করলেও, অনেক ক্ষেত্রেই গ্রাহকের আঙুলের ছাপ নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠছে। এই পদ্ধতি আরও নিরাপদ করতে তাই কৃত্রিম মেধা ভিত্তিক নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে আঙুলের ছাপের ভিত্তিতে সকলের আধার তথ্য যাচাইয়ের পদ্ধতি আরও আঁটোসাঁটো করছে ইউআইডিএআই।
সোমবার আধার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, তারা নিজেরাই ওই প্রযুক্তিগত উন্নয়ন করেছে। যেখানে আঙুলের ছাপ এবং আঙুলের রেখার একাংশ এক সঙ্গে প্রযুক্তির মাধ্যমে যাচাই করা হবে। এক অর্থে এটি দু’টি পর্যায়ের তথ্য যাচাই প্রক্রিয়া। এর হাত ধরে আগের থেকে অনেক বেশি সহজে প্রতারণা কমানো যাবে। তৃণমূল স্তরে যে সব সংস্থা আধারের তথ্য যাচাইয়ের কাজে যুক্ত, তাদের ক্ষেত্রে পর্যায়ক্রমে এই ব্যবস্থা কার্যকর করা হচ্ছে। এই প্রযুক্তিতে গোটা প্রক্রিয়া রূপান্তরের জন্য সংস্থাগুলির সঙ্গে নিয়মিত যোগ রেখেছে চলেছে ইউআইডিএআইয়ের বিভিন্ন আঞ্চলিক দফতরগুলি।
সংশ্লিষ্ট মহলের খবর, আগে তথ্যযাচাইয়ের ক্ষেত্রে এক ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হত। এখন সে ক্ষেত্রেইকৃত্রিম মেধা ভিত্তিক প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ঘটানো হয়েছে। ইউআইডিএআই বলেছে, ডিসেম্বর পর্যন্ত আধার তথ্য যাচাইয়ের মাধ্যমে লেনদেন ৮৮০০ কোটি ছাড়িয়েছে। দিনে গড়ে ৭ কোটি। অধিকাংশ আঙুলের ছাপের ভিত্তিতে।