প্রভিডেন্ট ফান্ডের ন্যূনতম পেনশন বাড়ায়নি অর্থ মন্ত্রক। প্রতীকী ছবি।
উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি সুপারিশ করেছিল। তার ভিত্তিতে প্রস্তাব দিয়েছিল শ্রম মন্ত্রকও। তবু প্রভিডেন্ট ফান্ডের ন্যূনতম পেনশন বাড়ায়নি অর্থ মন্ত্রক। ফলে তা রয়ে গিয়েছে মাসে ১০০০ টাকাই। সরকারি সূত্রের খবর, কেন পেনশন বৃদ্ধির প্রস্তাব খারিজ করা হয়েছে, অর্থ মন্ত্রকের কাছে তার ব্যাখ্যা তলব করবে সংসদের শ্রম বিষয়ক স্থায়ী কমিটি।
পিএফ পেনশনের (ইপিএস-১৯৯৫) মূল্যায়ন-সহ প্রকল্পটি খতিয়ে দেখতে শ্রম মন্ত্রক বিশেষ কমিটি গঠন করেছিল। তারা মাসে ন্যূনতম পেনশন ১০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০০০ করার প্রস্তাব দেয়। সেই মতো শ্রম মন্ত্রক চিঠি লিখে অর্থ মন্ত্রককে জানায়, সুপারিশ কার্যকর করতে তাদের আর্থিক সহায়তা জরুরি। কিন্তু অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের দফতর তা খারিজ করে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার শ্রম মন্ত্রক এবং কর্মী প্রভিডেন্ট ফান্ড অগার্নাইজ়েশনের (ইপিএফও) আধিকারিকেরা পুরো বিষয়টি সংসদীয় কমিটির কাছে তুলে ধরেছেন।
সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সিপিএম সাংসদ এলামারাম করিম বলেন, প্রস্তাবটি খারিজ করার কারণ হিসেবে অর্থ মন্ত্রক জানিয়েছে, দেশে অনেক গরিব মানুষ রয়েছেন। তাঁদের বঞ্চিত করে শুধু পিএফের সদস্যদের আলাদা ভাবে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের মতে, কেন্দ্রের এমন যুক্তি বিস্ময়কর এবং অদ্ভুত।
করিমও বলছেন, “অর্থ মন্ত্রকের বক্তব্যে আমরা হতবাক। কর্পোরেট মহলকে আর্থিক সাহায্য দিতে এই সরকারের কার্পণ্য নেই। অথচ পিএফের সাধারণ সদস্যদের স্বার্থে অর্থ বরাদ্দ করতে নারাজ। কর কমানো-সহ বিভিন্ন পথে কর্পোরেট সংস্থাগুলিকে কতটা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে জানতে চাইব। ব্যাঙ্কের হিসাবের খাতা থেকে বহু অনুৎপাদক সম্পদ মুছে ফেলার জন্য কত টাকা লোকসান হয়েছে, তার হিসাবও চাইব।’’ তিনি জানান, কেন্দ্রীয় পিএফ কমিশনার-সহ পিএফ দফতরের কিছু আধিকারিককে ডেকে তাঁরা কথা বলেছেন।
সিটুর সাধারণ সম্পাদক তপন সেন এবং ইউটিইউসির সাধারণ সম্পাদক অশোক ঘোষের দাবি, ন্যূনতম পেনশন ১০০০ টাকা হলেও পিএফের বহু সদস্য তার থেকে কম পাচ্ছেন হাতে। তপনবাবু জানান, তেমন সদস্যই প্রায় ২৭ লক্ষ।