শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল। —ফাইল চিত্র।
ভারত এবং বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের জন্য বিশেষ হাটের পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রক। মন্ত্রক সূত্রের দাবি, দুই প্রতিবেশীর সম্পর্ক আরও নিবিড় করতে এই সীমান্ত হাটের পরিকল্পনা। এ ব্যাপারে দিল্লি-ঢাকার আলোচনার প্রাথমিক পর্ব সম্পূর্ণ হয়েছে। চলতি জি-২০ সম্মেলনে দু’দেশের আর্থিক ও বাণিজ্যিক লেনদেন সংক্রান্ত আলোচনাতেও কথা হয়েছে এ বিষয়ে। বাণিজ্য মন্ত্রকের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, ‘‘হাটে আসা-যাওয়ার প্রশ্নে সীমান্তবাসীদের ভিসা-পাসপোর্টের ক্ষেত্রে কী ভাবে এবং কতটা শৈথিল্য দেখানো হবে তা নিয়ে দু’দেশের আলোচনা চলছে।’’
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের বেশিরভাগ অঞ্চলেই কাঁটাতারের অনুশাসন। কোথাও বা সীমানা নির্দিষ্ট করেছে নদী। রয়েছে সীমান্ত পেরিয়ে চোরাচালানের রমরমাও। সরকারি সূত্র বলছে, সীমান্ত হাটের ফলে দু’দেশের নাগরিকদের সৌহার্দ্য বজায় থাকার পাশাপাশি বহু ক্ষেত্রে চোরাচালানেও ভাটা পড়বে বলে মনে করছেন তাঁরা।
সূত্রের খবর, ভারতের মাটিতেই ১৬টি সীমান্ত হাটের কথা ভাবা হয়েছে। যার আটটি এ রাজ্যের মালদহ, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, দক্ষিণ ও উত্তর দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহারে গড়ে ওঠার কথা। তবে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেই পাকাপাকি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।