স্প্যাম কল ও মেসেজে মহিলাদের তুলনায় অনেক বেশি নাকাল হন পুরুষেরা। —প্রতীকী চিত্র।
মোবাইলে পণ্য-পরিষেবার প্রচারে যখন তখন আসা কল এবং জোয়ারের মতো অবিরাম জমা হতে থাকা এসএমএসে অতিষ্ঠ গ্রাহক। পরিভাষায় এগুলিকে বলে ‘স্প্যাম’। যার আড়ালে বাড়তে থাকা আর্থিক প্রতারণা আশঙ্কাও বাড়িয়েছে বহু গুণ। গত অগস্ট থেকেই নথিভুক্ত নয় এমন নম্বর থেকে অবাঞ্ছিত কল এলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে টেলিকম নিয়ন্ত্রক ট্রাই। টেলি শিল্পের সংগঠন সিওএআই জানিয়েছে, বুধবার থেকে এই ব্যবস্থা চালু হয়েছে অবাঞ্ছিত বার্তা পাঠানো নম্বরের বিরুদ্ধেও। এই অবস্থায় এয়ারটেল একটি সমীক্ষায় জানাল, স্প্যাম কল ও মেসেজে মহিলাদের তুলনায় অনেক বেশি নাকাল হন পুরুষেরা। নিশানা হন প্রধানত ২৬ থেকে ৬০ বছর বয়সিরা।
সমীক্ষায় দাবি, মহিলাদের মধ্যে যেখানে মাত্র ২১% অবাঞ্ছিত কল এবং বার্তা পান, সেখানে পুরুষদের ক্ষেত্রে ৭৯ শতাংশই নিয়মিত এই সমস্যায় জর্জরিত। উপার্জন করেন বলে সেগুলির প্রায় ৮০% আসে প্রধানত ২৬-৬০ বছর বয়সিদের কাছে। ওই সব কল-এসএমএস বেশি আসে কাজের দিনগুলিতে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ৩টের মধ্যে। তবে গত দু’আড়াই মাসে গ্রাহকের তরফে অবাঞ্ছিত কল ধরার হার ১২ শতাংশের বেশি কমেছে।
এয়ারটেল জানাচ্ছে, তারা সমীক্ষায় দেখেছে দিল্লি সার্কল থেকে সবচেয়ে বেশি অবাঞ্ছিত কল করা হয়। তার পরে মুম্বই এবং কর্নাটক সার্কল। এগুলি পাওয়ার ক্ষেত্রেও শীর্ষে দিল্লি সার্কল। এর পরে অন্ধ্রপ্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশের পশ্চিমাংশ। অবাঞ্ছিত কিংবা ভুয়ো বার্তা পাঠানোয় শীর্ষে গুজরাত সার্কল। এর পরে কলকাতা ও উত্তরপ্রদেশ। এগুলির মূল লক্ষ্য মুম্বই, চেন্নাই, গুজরাত সার্কলের গ্রাহকেরা। ট্রাইয়ের নির্দেশিকা মেনে ইতিমধ্যেই এয়ারটেল, বিএসএনএল, ভোডাফোন আইডিয়া তাদের সিমে ‘স্প্যাম’ চিহ্নিতকরণের প্রযুক্তি এনেছে। যাতে গ্রাহকেরা এই ধরনের কল বা মেসেজ এলে বুঝতে পারেন আর ওই সব নম্বরের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে পারেন কর্তৃপক্ষ।