আগামী মাসের গোড়া থেকে জিএসটি চালু করতে অনড় কেন্দ্র। কিন্তু তা নিয়ে জবরদস্তিতে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতিতে আজ, শনিবার দিল্লিতে বৈঠকে বসছে জিএসটি পরিষদ। তাতে যোগ দিতে যাচ্ছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।
যে কয়েকটি পণ্যে জিএসটির হার ঠিক হয়নি, মূলত সেগুলি নিয়েই আলোচনা হওয়ার কথা বৈঠকে। এর মধ্যে রয়েছে বিস্কুট, বস্ত্র, বিড়ি, জুতো, বিড়ি বাঁধতে ব্যবহৃত তেন্দু পাতা ইত্যাদি। করের হার ঠিক হওয়ার কথা সোনার গয়না, দামি পাথর, মুক্তো ইত্যাদিরও। সব কিছু ঠিকঠাক চললে, ১ জুলাই জিএসটি চালুর আগে এটিই সম্ভবত পরিষদের শেষ বৈঠক।
কিন্তু জিএসটি চালুর দিন নিয়ে কেন্দ্রের জোরাজুরিতে এখনও বেজায় ক্ষুব্ধ মমতা। এ দিন পৈলানে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘অমিত মিত্রের সঙ্গে কথা হয়েছে। উনিও খুব রেগে আছেন। আমাদের কোনও কথাই কেন্দ্র শুনছে না।’’ বৃহস্পতিবারও তিনি বলেছিলেন, ‘‘জিএসটি নিয়ে এ বার (কেন্দ্রকে) কড়া চিঠি দেব। অমিত মিত্র আগেও বলেছেন। ওরা কথা শুনছে না।’’ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি অবশ্য গতকাল জানান যে, সম্প্রতি শ্রীনগরে পরিষদের বৈঠকে প্রায় সব রাজ্যের মন্ত্রী ১ জুলাই থেকে জিএসটি চালুর কথা বলেছেন। সে জন্য কেন্দ্র তৈরিও।
কেন্দ্রের ধারণা, ১ জুলাই থেকে জিএসটি চালু না-করলে বিপুল ক্ষতির মুখে পড়বে রাজ্য। এ দিন বর্ধমানে এক অনুষ্ঠানে এসে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাসও বলেন, ‘‘অর্থনীতিকে পোক্ত করতে কেন্দ্র জিএসটি চালু করতে চাইছে। বাধা দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ। কিন্তু তাতে তারা অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল হবে।’’