ফাইল ছবি
বিজয় মাল্য থেকে শুরু করে নীরব মোদী, মেহুল চোক্সী— বার বার আর্থিক অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ভারতের বাইরে গা ঢাকা দিয়েছেন। একই অভিযোগ অন্যান্য অপরাধীদের ক্ষেত্রেও। তাঁদের দেশে ফেরাতে নাজেহাল হচ্ছে তদন্তকারী সংস্থাগুলি। এই ধরনের ঘটনা আটকাতে এবং চোরাচালান রুখতে বিমান সংস্থাগুলিকে কেন্দ্রের নির্দেশ, এ বার আন্তর্জাতিক উড়ানের যাত্রীদের বিমান টিকিটে প্যাসেঞ্জার নেম রেকর্ড (পিএনআর)-এর তথ্য আমদানি শুল্ক বিভাগের কাছে জমা দিতে হবে। ২০১৭ সালের বাজেটে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।
এখন বিদেশে যাওয়া যাত্রীদের নাম, দেশ, পাসপোর্টের তথ্য অভিবাসন দফতরে জমা দিতে হয়। পরোক্ষ কর এবং আমদানি শুল্ক বিভাগ জানিয়েছে, নতুন নিয়মে বিমান ছাড়ার ২৪ ঘণ্টা আগে নাম, ঠিকানা, যোগাযোগের নম্বর এবং আর্থিক লেনদেনের তথ্যও জানাতে হবে। লাগবে টিকিট কাটার দিনক্ষণ, ওই পিএনআর-এ থাকা অন্যান্যদের নাম, যাত্রার উদ্দেশ্য, ভ্রমণ-ব্যাগেজ-ট্রাভেল এজেন্সির বিস্তারিত তথ্য এবং এক সংস্থা অন্য সংস্থাকে সিট বেচে থাকলে তার বিবরণও। এর ফলে ৬০টি দেশের তালিকায় নাম উঠেছে ভারতের, যারা যাত্রীদের পিএনআর-এর তথ্যসংগ্রহ করে।
সরকারের দাবি, সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে নজরদারি চলবে। খতিয়ে দেখা হবে যাত্রীদের দেশে ঢুকতে বা দেশ থেকে বেরোতে দেওয়া কতটা ঝুঁকির। পাঁচ বছর তথ্য সংরক্ষণ করতে হবে। নিয়ম না-মানলে প্রতি ক্ষেত্রে সংস্থাগুলির জরিমানা হবে ২৫,০০০-৫০,০০০ টাকা।