Financial Fraud Case

ডিজিটাল প্রতারণার অভিযোগে ব্যবস্থা

যদিও প্রশ্ন উঠছে, সাধারণ মোবাইল গ্রাহকের কতজন ডিজিটাল ব্যবস্থায় অভিযোগ জানাতে পারবেন? অনেকেরই সেই সুবিধা নেই, একাংশ আবার তাতে সড়গড় নন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২৪ ০৯:০২
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

মোবাইল ফোনে সন্দেহজনক ফোন, এসএমএস কিংবা হোয়াটস্অ্যাপ বার্তা পাঠিয়ে প্রতারণার চেষ্টা রুখতে কড়া নজর রাখবে কেন্দ্রীয় টেলিকম দফতরের (ডট) ‘চক্ষু’ পরিষেবা। সন্দেহভাজন ফোন নম্বর সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের মধ্যে আদানপ্রদান করে যাচাই করতে ডিজিটাল ইনটেলিজেন্স পোর্টালও (ডিআইপি) এনেছে ডট। সোমবার পরিষেবা দু’টির উদ্বোধন করেন টেলিকমমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।

Advertisement

যদিও প্রশ্ন উঠছে, সাধারণ মোবাইল গ্রাহকের কতজন ডিজিটাল ব্যবস্থায় অভিযোগ জানাতে পারবেন? অনেকেরই সেই সুবিধা নেই, একাংশ আবার তাতে সড়গড় নন। বিশেষত প্রবীণ মানুষেরা যখন প্রতারকদের অন্যতম নিশানা, তখন তাঁদের পক্ষে গোটা ব্যবস্থা কতটা সুবিধাজনক? তার উপর অভিযোগের পোর্টালে যেহেতু সন্দেহভাজন ফোন বা বার্তার স্ক্রিনশট যুক্ত (অ্যাটাচ) করতেও বলা হয়েছে। এ দিন নয়াদিল্লিতে মন্ত্রীর সাংবাদিক বৈঠকের প্রশ্নোত্তর পর্বের সময়ে এই প্রশ্ন কলকাতায় ডটের অফিসে করা হলেও, তাদের এবং দিল্লির দফতরের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবে তার কোনও জবাবে মেলেনি।

ভুয়ো নামে বেআইনি সংযোগ (সিম) নেওয়া আটকাতে এবং গ্রাহককে হারানো বা চুরি হওয়া মোবাইল খোঁজার জন্য আবেদন জানানোর সুযোগ দিতে গত বছর সরকারের বিশেষ পোর্টাল (www.sancharsaathi.gov.in) চালু হয়েছিল। তাতেই শুরু হল চক্ষু এবং ডিআইপি পরিষেবা। অশ্বিনী বলেছেন, শীঘ্রই চক্ষু পরিষেবার মোবাইল অ্যাপ-ও চালু হবে।

Advertisement

গ্রাহকদের অভিযোগ, ফোনে প্রতারণা ক্রমশ বাড়ছে। কখনও কেওয়াইসি না থাকার দাবি করে সংযোগ বন্ধের হুমকি দেওয়া হয়, কখনও ব্যাঙ্কের নাম নিয়ে ফোন করে বলা হয় এটিএম পরিষেবা বন্ধের কথা। লটারি জেতার টাকা দেওয়া, সহজ ও কম সুদে ধার, কাজ দেওয়া কিংবা মোটা টাকা দিয়ে মোবাইলের টাওয়ার বসানোর টোপ দিয়েও জালিয়াতির অভিযোগ উঠছে। কেন্দ্রের দাবি, এই ধরনের সাইবার অপরাধ রুখবে ‘চক্ষু’। গ্রাহকেরা সঞ্চারসাথি পোর্টালে গিয়ে ‘চক্ষু’ পরিষেবায় সন্দেহজনক ফোনের বিশদ তথ্য জানাতে পারবেন।

বিভিন্ন সংস্থার টেলি-বিপণন ফোন বা বার্তাগুলি নিয়ে ‘চক্ষু’-তে অভিযোগ জানানোর বিষয়টি অবশ্য খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন মন্ত্রী। তবে তাঁর দাবি, এ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ‘কোড’ ব্যবহার করতে হয়। কিছু বেআইনি সংস্থা সেই কোড বদলে প্রতারণা করছে। সঞ্চারসাথি মারফত এমন প্রায় ৩৫ লক্ষ হেডার বিশ্লেষণ করে ১.৯ লক্ষকে হয় কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে কিংবা বাতিল করা হয়েছে।

নজরবন্দি

· আর্থিক প্রতারণা এবং সাইবার-অপরাধ রুখতে নতুন দু’টি ব্যবস্থা ডটের।

· সঞ্চারসাথি পোর্টালের (www.sancharsaathi.gov.in) ‘চক্ষু’ পরিষেবায় গ্রাহকেরা সরাসরি সন্দেহজনক ফোন বা বার্তা (এসএমএস বা হোয়াটসঅ্যাপ) নিয়ে অভিযোগ জানাবেন।

· তার সত্যতা যাচাই করে দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে।

· সন্দেহজনক নম্বরের তথ্যভান্ডার গড়তে সব পক্ষ (ব্যাঙ্ক-আর্থিক প্রতিষ্ঠান, টেলিকম পরিষেবা সংস্থা, পুলিশের মতো আইনরক্ষক, সামাজিক মাধ্যম ইত্যাদি) নিজেদের মধ্যে তথ্য বিনিময় করবে ডিআইপি-তে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement