প্রতীকী ছবি।
গত বছর লকডাউন ওঠার পর থেকে একটু একটু করে বাড়ছিল গাড়ি বিক্রি। বিশেষ করে গণপরিবহণ এড়াতে অনেকেই দু’চাকার গাড়ি কিনছিলেন। পরে তেলের চড়া দর সেই গতিতে কিছুটা রাশ টানে। কিন্তু এ বার করোনার দ্বিতীয় হানায় আরও গভীর সমস্যায় পড়েছে গাড়ির ব্যবসা। সরকারি পরিসংখ্যান তুলে ধরে গাড়ির ডিলারদের সংগঠন ফাডা জানাচ্ছে, গত মার্চের তুলনায় এপ্রিলে খুচরো ব্যবসা (শোরুম থেকে গাড়ির বিক্রি) বিপুল ধাক্কা খেয়েছে। এমনকি, সেই বিক্রি ২০১৯ সালের এপ্রিলের চেয়েও অনেকটাই কম। ফাডার দাবি, পরিস্থিতি যা তাতে দু’বছর আগের ব্যবসার অবস্থায় পৌঁছতেই ২০২৩ সাল গড়িয়ে যেতে পারে। ঘুরে দাঁড়াতে কেন্দ্র ও রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে ত্রাণের আর্জি জানিয়েছে তারা।
উৎপাদনমুখী শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ অংশ গাড়ি। করোনার আগে থেকেই অর্থনীতির ঝিমুনিতে যার লেখচিত্র নিম্নমুখী। করোনা তাকে আরও টেনে নামিয়েছে। কোপ পড়েছে কর্মসংস্থানে।
ফাডার প্রেসিডেন্ট ভিঙ্কেশ গুলাটির দাবি, এ বারের ধাক্কা আরও ভয়াবহ হতে চলেছে। মার্চের তুলনায় তো বটেই, ২০১৯ সালের এপ্রিলের চেয়েও বিক্রি পড়েছে অনেকটা। কেন্দ্রীয় ‘বাহন’ পোর্টালের তথ্যেই তা স্পষ্ট। গত বছর লকডাউনের সময়টিকে হিসেবের বাইরে রেখেছেন তাঁরা। ফাডার বক্তব্য, এ বারে রাজ্যগুলি লকডাউন ঘোষণা করায় কেন্দ্রের তরফে আপাতত কোনও ত্রাণ প্রকল্প মিলছে না। তাই প্রতি রাজ্যের লকডাউনের দিন অনুযায়ী ঋণ শোধের সময়সীমায় ছাড়ের নির্দেশিকা জারি করুক রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক।