গুজরাতে কারখানা গড়ার কথা বলেছিল মারুতি-সুজুকি। কিন্তু পরে তার বদলে সেটি তৈরির কথা বলে তাদের মূল সংস্থা সুজুকি মোটর কর্প। কিন্তু সেই প্রস্তাবে আপত্তি তোলে মারুতি-সুজুকির সংখ্যালঘু শেয়ারহোল্ডাররা। তাঁদের মত জানতে শীঘ্রই ভোট চাওয়া হবে বলে জানালেন মারুতি-সুজুকির চেয়ারম্যান আর সি ভার্গব।
সোমবার সংস্থার বার্ষিক সভায় ভার্গব জানান, কোম্পানি আইনে কিছু সংশোধনে উদ্যোগী হয়েছিল কেন্দ্র। তার জেরেই ভোট চাওয়ার বিষয়টি স্থগিত ছিল। গুজরাত সরকার এবং সেবিকে ওই আইন সংশোধনের জন্য কিছু বিষয় বদলাতে হত। সেবি তা করেছে। গুজরাত সরকারও দিন দশেকের মধ্যে তা সম্পূর্ণ করবে বলে ভার্গবের আশা। শেয়ারহোল্ডারদের তিনি বলেন, ‘‘তারপরই আপনাদের কাছে ওই প্রকল্পের (গুজরাত কারখানা) সমর্থনে ভোট চাইব।’’
মারুতি কর্তার দাবি, চলতি বছরে তাঁদের গাড়ি বিক্রি ১০ শতাংশের বেশি বাড়লেই নতুন কারখানা প্রয়োজন হবে। কারণ, চালু দুই কারখানা সম্প্রসারণের আর উপায় নেই। এর আগে চাহিদা বৃদ্ধির কথা মাথায় রেখেই তাঁরা গুজরাতে তৃতীয় (গুড়গাঁও ও মানেসরের পরে) কারখানা গড়ার পরিকল্পনা করেন।
কিন্তু সুজুকি মোটর জানায় যে, তারা ওই কারখানা গড়বে। ঢালবে ৪৮.৮ কোটি ডলার। আর সেই প্রস্তাবেই আপত্তি তোলেন সংখ্যালঘু শেয়ারহোল্ডাররা। তাঁদের আশঙ্কা ছিল, এর ফলে ধীরে ধীরে জাপানি সংস্থা সুজুকির গাড়ির স্রেফ বিক্রি ও বিপণনের দায়িত্ব বর্তাবে মারুতির উপর। ক্ষুণ্ণ হবে সংখ্যালঘু শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ। তা সুরক্ষিত করতে সেবির হস্তক্ষেপ চেয়েছিল মারুতি-সুজুকির অংশীদার আর্থিক লগ্নিকারী সংস্থাগুলি। সংস্থার ৭% শেয়ার রয়েছে এই সব মিউচুয়াল ফান্ড, বিমা সংস্থাগুলির হাতে। এই পরিপ্রেক্ষিতেই কারখানা গড়ার প্রস্তাবে কিছু রদবদল করে তাতে ভোট চাইবে মারুতি।