—প্রতীকী ছবি।
আবাসন ক্ষেত্রের গতি কার্যত অপ্রতিরোধ্য। তবু তারই মধ্যে গত জানুয়ারি-মার্চে কলকাতা-সহ দেশের আটটি বড় শহরে বিক্রি হওয়া সমস্ত ফ্ল্যাটের মধ্যে কম দামি ফ্ল্যাটের (৪৫ লক্ষ টাকার মধ্যে) অংশীদারি কমে হল ২২%। যা ২০২৩ সালের একই সময়ে ৪৮% ছিল। আবাসন ক্ষেত্রের ব্রোকারেজ সংস্থা প্রপটাইগার ডট কমের এক সমীক্ষায় এমনই তথ্য উঠে এসেছে। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, অতিমারির পর থেকে স্থায়ী ছাদের চাহিদা বৃদ্ধির উপরে নির্ভর করে আবাসন ক্ষেত্র ঘুরে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সামগ্রিক বিক্রির মধ্যে ক্রমাগত বেড়ে চলেছে দামি ফ্ল্যাটের অংশীদারি। তাতে ব্যবসার অঙ্ক বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু দেশে আর্থিক বৈষম্যের ছবিটা আরও প্রকট ভাবে প্রতিফলিত হচ্ছে।
প্রপটাইগারের রিপোর্টে জানানো হয়েছে, আলোচ্য সময়ে দিল্লি ও রাজধানী অঞ্চল, বৃহন্মুম্বই, কলকাতা, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, আমদাবাদ, হায়দরাবাদ এবং পুণেতে মোট ১,২০,৬৪০টি ফ্ল্যাট বিক্রি হয়েছে। যা এক বছর আগের তুলনায় (৮৫,৮৪০) ৪১% বেশি। কিন্তু এর মধ্যে ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ফ্ল্যাটের অংশীদারি ১৫% থেকে কমে হয়েছে ৫%। ২৫-৪৫ লক্ষ টাকার ফ্ল্যাটের ক্ষেত্রে তা ২৩% থেকে ১৭ শতাংশে নেমেছে। আর ১ কোটি টাকার বেশি দামি ফ্ল্যাটের ভাগ ২৪% থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৭%। ৭৫ লক্ষ থেকে ১ কোটি টাকা দামের ক্ষেত্রে ১২% থেকে হয়েছে ১৫%। ৪৫-৭৫ লক্ষের ক্ষেত্রে এই হার অপরিবর্তিত (২৬%)। মূল্যের নিরিখে এই আট শহরে ফ্ল্যাট বিক্রির অঙ্ক ৬৬,১৫৫ কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১,১০,৮৮০ কোটি টাকা। প্রপটাইগার কর্তা বিকাশ ওয়াধওয়ানের বক্তব্য, ‘‘আট শহরে আবাসনের ব্যবসায় এখন স্বপ্নের দৌড় চলছে। এর ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে সিমেন্ট, ইস্পাত-সহ প্রায় ২০০টি অনুসারী শিল্পে। সামগ্রিক অর্থনীতিতেও।’’