টুইটারকে পাল্লা দিতে বাজারে মেটার থ্রেডস। — ফাইল চিত্র।
টুইটারকে হাতে নেওয়ার পর থেকেই ক্রমাগত নিয়ম-কানুন বদলে চলেছেন কর্ণধার ইলন মাস্ক। সেই পরিবর্তনে নেটিজেনদের অনেকে যখন বিরক্ত এবং ক্ষুব্ধ, ঠিক তখনই সামাজিক মাধ্যম হিসেবে মেটা বাজারে আনল থ্রেডস। আর তা নিয়েই উত্তাল গোটা নেট দুনিয়া।
একাংশের দাবি, টুইটারের প্রতিদ্বন্দ্বীকে এনে মাস্ককে রীতিমতো চাপে ফেলেছেন মেটার প্রতিষ্ঠাতা-সিইও জ়াকারবার্গ। আর অন্য অংশের কটাক্ষ, থ্রেডস টুইটারের ‘কপি-পেস্ট’ ছাড়া কিছু নয়।
মেটার ইনস্টাগ্রাম থেকে প্রকাশ্যে আনা হয়েছে এটিকে। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য শুরু হওয়ার পরে এই লড়াই উস্কে দিয়েছেন খোদ জ়াকারবার্গ এবং মাস্ক। মেটা কর্তা বলেছেন, থ্রেডস সকলের জন্য আলোচনার খোলা এবং বন্ধুত্বপূর্ণ মঞ্চ। টুইটারও তেমন হবে বলে আশা ছিল। কিন্তু তা হয়ে উঠতে পারেনি। মাস্কের টুইট, ইনস্টাগ্রামে খুশি হওয়ার মিথ্যে নাটককে প্রশ্রয় দেওয়ার তুলনায় টুইটারে অচেনাদের আক্রমণের মুখে পড়া কাঙ্খিত। ২০১৮ সালে ইনস্টাগ্রাম মুছে দেওয়া কথা বলতে গিয়ে তাকে ‘দুর্বল’ আখ্যাও দিয়েছেন তিনি।
থ্রেডস-এ আমজনতা লিখতে বা লিঙ্ক পোস্ট করতে পারেন কিংবা অন্য কারও বার্তা ফের পোস্ট করতে পারেন। ঠিক তা চালু করার সময়েই ১১ বছর বাদে প্রথম টুইটারে পোস্ট করেন জ়াকারবার্গ। এখন নেট দুনিয়া উত্তাল একটাই প্রশ্নে, টুইটারকে টপকে যেতে পারবে থ্রেড? মেটা কর্তার জবাব, কিছুটা সময় লাগবে।
চালু হওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে থ্রেডস-এ ৫০ লক্ষের বেশি মানুষ যোগ দিয়েছেন বলে খবর। তার মধ্যে রয়েছে শাকিরা ও জ্যাক ব্ল্যাকের মতো বিনোদন জগতের বিখ্যাত ব্যক্তিত্বরা। সাত ঘণ্টার মধ্যে যোগ দেন ১ কোটি মানুষ। জ়ুকেরবার্গ নিজেই তা পোস্ট করে জানান। নেটিজেনদের একাংশের দাবি, থ্রেডস ইনস্টাগ্রামের সঙ্গে জুড়ে আছে। ফলে কিছু মানুষকে ব্যবহারকারী হিসেবে পাওয়ার সুবিধা আগে থেকেই তৈরি। তার উপর এটি এমন এক সময় বাজারে আসল, যখন মাস্কের টুইটার একটু বেকায়দায়।