ক্রমশ ঘোলা হতে থাকা আম্রপালি বির্তকে এ বার নাম জড়াল হৃতি স্পোর্টস ম্যানেজমেন্টেরও (আরএসএমপিএল)। যে সংস্থা বিপণন ও দেখভাল করে ‘ব্র্যান্ড ধোনি’র। অর্থাৎ ক্রিকেট তারকা মহেন্দ্র সিংহ ধোনির বিজ্ঞাপন থেকে শুরু করে ভাবমূর্তি (ব্র্যান্ড) ঝকঝকে করার কাজ সামলায় তারা। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে সংস্থাটি।
নয়ডা এবং গ্রেটার নয়ডায় ৪২ হাজারেরও বেশি বাড়ির ক্রেতাকে সময়ে চাবি হাতে তুলে না দেওয়ার অভিযোগ আজ অনেক দিন ধরেই তাড়া করছে আম্রপালি গোষ্ঠীকে। এ জন্য তাদের বিরুদ্ধে টাকা নয়ছয়ের ফৌজদারি মামলা দায়ের করে ইডি। আগামী দিনে গোষ্ঠীর প্রোমোটারদের জেরাও করতে চায় তারা। আর দেশের ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়কের নাম উঠে এসেছে এই বির্তকের সূত্রেই। সুপ্রিম কোর্টে ফরেনসিক অডিটরদের অভিযোগ, হৃতি স্পোর্টসের সঙ্গে আম্রপালির যে চুক্তি হয়েছিল তা স্বচ্ছ নয়। একই সঙ্গে তার মাধ্যমে ফ্ল্যাট ক্রেতাদের জমা করা টাকা সরানো হয়েছে বেআইনি ভাবে।
কেন ওই চুক্তি অস্বচ্ছ, তার বেশ কয়েকটি উদাহরণও পেশ করেছেন অডিটররা। যেমন, একটি চুক্তিতে বলা হয়েছিল আম্রপালির কাজের জন্য সংস্থার চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলা ও অন্যান্য বিষয়ে সময় দিতে বছরে তিন দিন সময় দেবেন ধোনি। কিন্তু তেমনটা হওয়ার কোনও প্রমাণ মেলেনি। ১০ বছর আগে এই আম্রপালি গোষ্ঠীরই একটি প্রকল্পে বুক করা ৫,৫০০ বর্গফুটের পেন্ট হাউসে নিজের অধিকার সুরক্ষিত করতে গত এপ্রিলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ধোনি।
কিন্তু অডিট রিপোর্টে দাবি, হৃতিকে মোট ৪২.২২ কোটি টাকার মধ্যে ৬.৫২ কোটি টাকা ২০০৯ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যেই দিয়েছে আম্রপালি স্যাফায়ার ডেভেলপার্স। ২০১৫ সালের আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের লোগো হিসেবে বিজ্ঞাপন দেওয়ার অধিকার আদায় করেছিল আম্রপালি। কিন্তু আশ্চর্যের কথা, সেই চুক্তি হয়েছে সাদা কাগজে! তা-ও আবার শুধু আম্রপালি ও হৃতির মধ্যে। চেন্নাই সুপার কিংসের তরফে কারও সই সেখানে নেই।
শুধু তাই নয়, অডিটরদের আরও অভিযোগ, ধোনির স্ত্রী সাক্ষী সিংহ ধোনি আম্রপালি মাহি ডেভেলপার্সের ডিরেক্টর। ওই সংস্থা-সহ আম্রপালি গোষ্ঠীর হয়ে বিজ্ঞাপন করার জন্য চুক্তিবদ্ধ ধোনি। বির্তক রয়েছে রাঁচিতে ওই সংস্থার প্রকল্প-প্রস্তাব নিয়েও। সব কিছুর পরেও হৃতির অবশ্য দাবি, এই রিপোর্ট ঠিক নয়। নিজেদের স্বচ্ছ প্রমাণ করার মতো নথি তাদের হাতে রয়েছে।