প্রতীকী ছবি।
দাম বৃদ্ধির আশঙ্কায় অনেকে আগেভাগে তেল কিনে রাখছিলেন। রান্নার গ্যাস নিয়েও সেই চিন্তা ছিল। কিন্তু পেট্রল-ডিজ়েলের পাশাপাশি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বৃদ্ধির পরে মঙ্গলবার গ্রাহকদের একাংশ আক্ষেপ করেছেন একটুর জন্য বাড়তি টাকা গুনতে হওয়ায়। কারণ এ দিন এমন অনেকের বাড়িতে সিলিন্ডার গিয়েছে, যাঁরা তা বুক করেছিলেন ৯২৬ টাকায়। কেউ কেউ অনলাইনে টাকাও মিটিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু হাতে যখন পেয়েছেন, তখন দাম আরও ৫০ টাকা বেড়ে ৯৭৬ হয়ে গিয়েছে। কম দামে বুক করেও ৯৭৬ টাকাই দিতে হয়েছে তাঁদের।
ইন্ডিয়ান অয়েল কর্তৃপক্ষের দাবি, গ্যাস বুকিং যে টাকাতেই হোক না কেন, বাড়িতে সিলিন্ডার ডেলিভারির সময় যে দাম থাকবে সেটাই মেটাতে হয় গ্রাহককে। বহু দিন ধরে এই নিয়ম চলে আসছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে বহু গ্রাহক প্রশ্ন তুলেছেন, সিলিন্ডার ডেলিভারির কয়েক ঘণ্টা হেরফেরে দামের ফারাক হবে কেন? অনেকেই আগে থেকে বুক করে রেখেছিলেন গ্যাস। অথচ সোমবার তাঁদের একাংশ পেয়েছেন ৯২৬ টাকায়। কিন্তু যাঁদের তেল সংস্থা সে দিন সিলিন্ডার পৌঁছে দিতে পারেনি, তাঁদের মঙ্গলবার কিনতে হয়েছে ৯৭৬ টাকায়।
ইনডেন ডিস্ট্রিবিউটর্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিজন বিশ্বাস বলেন, “গাড়ি বা অন্য অনেক পণ্যের ক্ষেত্রে যে দিন বুক করা হয়, সে দিনের দামেই গ্রাহক তা পেয়ে থাকেন। এমনকি ডেলিভারি পরে করা হলেও। পেট্রোপণ্যের ক্ষেত্রে উল্টো। এ ক্ষেত্রে গ্রাহক যখন হাতে পান, তখনকার দামই তাঁকে মেটাতে হয়। এই নিয়ম নতুন নয়, দীর্ঘ দিন ধরেই চলছে।’’
ভারত গ্যাসের এক ডিলার জানান, বুকিংয়ের সময় যত ছিল তার তুলনায় সিলিন্ডার ডেলিভারির সময় দাম বেড়ে গেলে বাড়তি দিতে হবে গ্রাহককে। আর কম হলে বিয়োগ হবে। গ্রাহক ফেরত পাবেন। ডেলিভারি বয়েরই হিসাব বুঝে নেওয়া দায়িত্ব। কেউ বুক করার সময় দাম মিটিয়ে রাখলেও বর্ধিত অংশটুকু তাঁর হাতে দিয়ে দিতে হবে। যেমন মঙ্গলবার অনেককেই সেটা করতে হয়েছে। কত টাকা বেশি লাগছে, তা ডেলিভারি স্লিপে উল্লেখ করা থাকে। উল্টোটা হলে বাড়তি জমা ওই ডেলিভারি ম্যান মারফতই ফেরত পেতেন গ্রাহক।
ওই ডিলার জানান, ‘‘রান্নার গ্যাসের বর্ধিত দাম সোমবার মাঝ রাত থেকে কার্যকর হয়েছে। ফলে আগে তৈরি করে রাখা প্রায় ৬০০ স্লিপ বাতিল করে নতুন তৈরি করতে হয়েছে।’’ সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, গ্যাসের দাম যে ভাবে বাড়ছে, তাতে এ বার হয়তো ডিলারদের ঘন ঘন পুরনো স্লিপ ফেলে দিয়ে নতুন করতে হবে।