ছবি: সংগৃহীত
করোনার আক্রমণ ও দীর্ঘ লকডাউনে অর্থনীতির যতটা খারাপ অবস্থা হবে বলে শুরুতে আশঙ্কা করা হয়েছিল, বাস্তবে হয়েছে তার থেকে অনেক বেশি। শুক্রবার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গত ঋণনীতি বৈঠকের কার্যবিবরণী (মিনিটস) প্রকাশের পরে এই ছবিটাই ধরা পড়েছে সদস্যদের আলোচনায়। যেখানে লকডাউন ওঠার সঙ্গে সঙ্গে মৃতপ্রায় চাহিদা ও লগ্নিতে প্রাণ ফিরিয়ে অর্থনীতিকে ঘুরিয়ে দাঁড় করাতে, দ্রুত নগদ জোগানের শর্ত পুরোপুরি শিথিল করার সওয়াল করেছেন আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। ডেপুটি গভর্নর মাইকেল দেবব্রত পাত্রের বার্তায় ধরা পড়েছে এমন গভীর ক্ষত মেরামত করে সারিয়ে তুলতে একের বেশি বছর গড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা।
গত ২০-২২ মের ঋণনীতি বৈঠক শেষে চাহিদা বাড়াতে রেপো রেট ৪০ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে ৪ শতাংশে নামানোর কথা ঘোষণার পরেই শক্তিকান্ত শুনিয়েছিলেন এই অর্থবর্ষে অর্থনীতির বহর কমার আশঙ্কার কথা। যে ভয় তার আগে থাকতেই প্রকট হতে শুরু করেছে বিভিন্ন আর্থিক ও মুল্যায়ন সংস্থার সমীক্ষায়। এমনকি মন্দার পূর্বাভাসও দিয়েছে কেউ কেউ।
এ দিন প্রকাশিত সেই বৈঠকের কার্যবিবরণী থেকে স্পষ্ট, ঋণনীতি কমিটির ছয় সদস্যই একবাক্যে বলেছিলেন, গোড়ায় লকডাউনের প্রভাব অর্থনীতিকে যতটা ভোগাবে বলে ভাবা হয়েছিল, আদতে ভুগিয়েছে তার থেকে বেশি। শক্তিকান্ত বলেন, মার্চের শেষে বৃদ্ধি চোট খাওয়ার ঝুঁকি সম্পর্কে যে অনুমান ছিল, তা আরও তীব্র হয়েছে। যা প্রকট হবে আগামী কয়েক মাসের তথ্য-পরিসংখ্যানেও।তাই অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে ঋণনীতি কমিটির প্রধান চ্যালেঞ্জ যে অবিলম্বে চাহিদায় প্রাণ ফেরানো, তা স্বীকার করেন গভর্নর। মেনে নেন, সে জন্য আগে ক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের প্রায় ভেঙে পড়া আস্থাকে পোক্ত করা জরুরি। বলেন, ‘‘লকডাউন ওঠার পরে কেন্দ্র ও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ঘোষিত সুরাহাগুলি চাহিদা বাড়াতে সাহায্য করবে ঠিকই। তবে তা এতটাই ভেঙে পড়েছে যে, বিক্রি ও লগ্নি বাড়াতে নগদ জোগানোর শর্ত পুরো শিথিল করতে হবে।’’ ঝুঁকি সামলাতে সামনে থেকে ও আগ্রাসী ভাবে লড়ার কথা বলেছেন পাত্রও। বাকিদের কথায় উঠে এসেছে, চাহিদা করোনা-পূর্ব অবস্থায় ফিরতে বেশি সময় লাগার আশঙ্কার কথা