Nirmala Sitharaman

এ বার ঋণের সুবিধা পেশাদারদের জন্যও 

আর্থিক পরিষেবা সচিব দেবাশিস পণ্ডা জানান, ছোট সংস্থাগুলিকে যথেষ্ট পুঁজি বিলি করা হয়েছে। সে কারণেই অপেক্ষাকৃত বড় সংস্থাগুলিকে এ বার প্রকল্পের আওতায় আনার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, ৩ লক্ষ কোটি টাকার প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত ১ লক্ষ কোটি সংস্থাগুলির হাতে পৌঁছয়নি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা 

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০২০ ০৩:৪৯
Share:

ছবি সংগৃহীত

করোনা সামলে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পকে পুঁজির জোগান দিয়ে ঘুরিয়ে দাঁড় করাতে সরকারি গ্যারান্টিযুক্ত ঋণ প্রকল্প চালু করেছে কেন্দ্র। শনিবার তার ক্ষেত্র বাড়ানোর কথা ঘোষণা করল তারা।

Advertisement

আজ অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানান, ছোট সংস্থার সংজ্ঞা বদলের পর থেকেই শিল্প মহলের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে আর্জি জানানো হচ্ছিল। তার ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, গত ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বকেয়া ঋণ ৫০ কোটি টাকার মধ্যে হলে প্রকল্পের সুবিধা মিলবে। আগে যা ছিল ২৫ কোটি। সেই সঙ্গে প্রকল্পের আওতায় আসবেন চিকিৎসক, আইনজীবী ও চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টরাও। তবে ঋণ পেতে তাঁদের যোগ্যতামান পূর্ণ করতে হবে। ঋণের সর্বোচ্চ অঙ্ক ৫ কোটি থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ১০ কোটি।

আর্থিক পরিষেবা সচিব দেবাশিস পণ্ডা জানান, ছোট সংস্থাগুলিকে যথেষ্ট পুঁজি বিলি করা হয়েছে। সে কারণেই অপেক্ষাকৃত বড় সংস্থাগুলিকে এ বার প্রকল্পের আওতায় আনার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, ৩ লক্ষ কোটি টাকার প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত ১ লক্ষ কোটি সংস্থাগুলির হাতে পৌঁছয়নি। কারণ, ঋণের চাহিদা নেই। প্রকল্পের ক্ষেত্র বাড়ানোর যা অন্যতম কারণ হতে পারে। বস্তুত কেন্দ্র বলেছে, আওতা বাড়ায় ঋণের চাহিদা ১ লক্ষ কোটি বাড়তে পারে। তবে প্রকল্পের মাপ এক থাকছে। ৩১ অক্টোবর বা ৩ লক্ষ কোটি ঋণের মধ্যে যেটা আগে হবে, সে দিন পর্যন্ত প্রকল্প চালু থাকবে।

Advertisement

বাড়তি কী

• বাড়ল সরকারি গ্যারান্টি যুক্ত ঋণ প্রকল্পের ক্ষেত্র।

• ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পের সংজ্ঞা বদলের প্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপ।

• ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে যাদের বকেয়া ঋণ ৫০ কোটি টাকার মধ্যে, তারা পাবে প্রকল্পের সুবিধা। আগে ছিল ২৫ কোটি।

• চিকিৎসক, আইনজীবী ও চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টরা পাবেন প্রকল্পের সুবিধা।

• সর্বোচ্চ ঋণ ৫ কোটি থেকে বাড়িয়ে ১০ কোটি।

• ব্যাঙ্ক এবং এনবিএফসি ইতিমধ্যেই ১.৩৭ লক্ষ কোটি মঞ্জুর করেছে। ২৯ জুলাই পর্যন্ত ঋণ দিয়েছে ৮৭,২৭৭ কোটি টাকা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement