ফাইল চিত্র।
প্রত্যাশা মতোই পদক্ষেপ করল মোদী সরকার। এলআইসিতে নিজেদের অংশীদারির খানিকটা বাজারে প্রথম বার বিক্রি করে (আইপিও) টাকা তুলতে এসে যে তারা বিদেশি লগ্নিকারীদের বঞ্চিত করতে চায় না, সেই ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিল। সরকারি সূত্রের খবর, তার পথ খুলতে শনিবার রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থাটিতে ২০% পর্যন্ত প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নির (এফডিআই) প্রস্তাবে সায় দিল মন্ত্রিসভা। কোনও বিদেশি সংস্থা শেয়ার কিনতে চাইলে, সরকার বা রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের অনুমোদনও লাগবে না। সরাসরি (অটোম্যাটিক রুট) পুঁজি ঢালতে পারবে।
মার্চেই বাজারে আসার কথা এলআইসি-র আইপিও। কেন্দ্রের লক্ষ্য, এর হাত ধরে রাজকোষে ৬৩,০০০ কোটি টাকা তোলা। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, চলতি অর্থবর্ষে রাজকোষ ঘাটতি এবং বিলগ্নিকরণের সংশোধিত লক্ষ্য (যথাক্রমে ৬.৯% এবং ৭৮,০০০ কোটি টাকা) পূরণে সফল হতে তাদের বড় বাজি এটি। বিদেশি লগ্নির সুযোগ খুলে সেটা নিশ্চিত করা হচ্ছে।
এখন বিমায় এফডিআইয়ের ঊর্ধ্বসীমা ৭৪%। তবে এই নীতি এলআইসি-র ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। তারা চলে এলআইসি আইন, ১৯৫৬ অনুযায়ী। যেখানে বিদেশি লগ্নির সীমার কথা বলা নেই। এই পরিস্থিতিতে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত, এলআইসি এবং এই ধরনের কর্পোরেট সংস্থায় ২০% পর্যন্ত বিদেশি বিনিয়োগ করা যাবে। বিমা মহলের দাবি, এই ধরনের কর্পোরেট সংস্থা বলতে যে সমস্ত বিমা সংস্থাকে বিশেষ আইন দ্বারা জাতীয়করণ করা হয়েছে সেগুলির কথা বলেছে কেন্দ্র।
সরকারি সূত্রের দাবি, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে সর্বোচ্চ ২০% এফডিআইয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এলআইসি-তেও ২০ শতাংশের ঊর্ধ্বসীমা। তবে ব্যাঙ্কে বিদেশি লগ্নির প্রস্তাবে সরকারি অনুমোদন লাগে। এলআইসি-র ক্ষেত্রে তা লাগবে না, বাকি বিমা ক্ষেত্রের মতোই। সরাসরি যে কোনও বিদেশি সংস্থা পুঁজি ঢালতে পারবে। সূত্র বলছে, দ্রুত মূলধন জোগাড়ের তাগিদেই সরকারি অনুমতির ঝক্কি রাখা হয়নি। সমস্ত ক্ষেত্রের উন্নতির জন্য এবং আর্থিক বৃদ্ধিতে গতি আনতে যে মূলধন কেন্দ্রের পাখির চোখ।