ফাইল চিত্র
বিরোধীরা তো বটেই। অর্থনীতিকে সঙ্কটের খাদ থেকে টেনে তুলতে বিপুল অঙ্কের ত্রাণের পক্ষে সওয়াল করেছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন থেকে শুরু করে জঁ দ্রেজ়ের মতো বহু অর্থনীতিবিদ। এই পরিস্থিতিতে এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা কৃষ্ণমূর্তি সুব্রহ্মণ্যন উন্নত দেশগুলির মতো বিপুল আর্থিক ত্রাণ দেওয়ার জন্য ভারতে বাড়তে থাকা দাবি সম্পর্কে সাবধান করলেন। বললেন, ‘‘বিনামূল্যে খাবার (ফ্রি লাঞ্চ) বলে কিছু হয় না।’’
যার মানে, এমন বিরাট মাপের প্রকল্প আনা হলে অর্থনীতিকে তার মাসুল গুনতে হবে। যদিও সরকার শীঘ্রই ত্রাণ ঘোষণা করতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু কৃষ্ণমূর্তির এই বার্তার পরে সেই ত্রাণ যথেষ্ট হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন অনেকে।
রাজকোষ ঘাটতি পূরণের জন্য নোট ছাপানোর প্রস্তাবেও আপত্তি কৃষ্ণমূর্তির। তাঁর দাবি, অর্থনীতির মৌলিক বিষয়গুলির ভিতে আঘাত হানবে এই পদক্ষেপ। এর আগে ঘাটতি সামলাতে নোট ছাপার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন তাঁরই পূর্বসূরি অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যন। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, দরিদ্রদের নগদ ও ছোট শিল্পকে মূলধন জোগাতে দরকার পড়লে নোট ছাপানো হোক। রাজনের গলাতেও ছিল সেই সুর। এমনকি এই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বর্তমান গভর্নর শক্তিকান্ত দাসও।
তবে চলতি অর্থবর্ষের প্রথম তিন মাসে যে করোনার কামড়ে জিডিপি সঙ্কুচিত হওয়া আশঙ্কা, তা মেনেছেন কৃষ্ণমূর্তি। তাঁর আশ্বাস, বছরের দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়াতে পারে ভারত। পুরো অর্থবর্ষে বৃদ্ধির হার ছুঁতে পারে ২%।
আরও পড়ুন: ভয়াল ছায়া মহামন্দার, দেশে বেকারত্বের হার বেড়ে ২৭.১১ শতাংশ