রেলের অনেক নিয়মই থেকে যায় অজানা। প্রতীকী চিত্র। শাটারস্টক।
সফরের টিকিট ছাড়াও জরুরি প্রয়োজন ট্রেনে ওঠা যায়। কিন্তু কোনও ভাবেই প্লাটফর্ম টিকিট ছাড়া রেল স্টেশন চত্বরে প্রবেশ করা যায় না। এই কথাটা সবার আগে মাথায় রাখা উচিত। আর প্লাটফর্ম টিকিট থাকলে কোনও যাত্রী দূরপাল্লার ট্রেনে উঠে পড়তে পারেন। যদি ওই ট্রেনে কোনও আসন ফাঁকা থাকে তবে নির্দিষ্ট ভাড়া দিয়ে তিনি সফরও করতে পারেন। সম্প্রতি এমন নিয়ম চালু হয়েছে বলে অনেকে দাবি করছেন। কিন্তু আদতে নতুন কিছু নয়, অনেক আগে থেকেই এই সংক্রান্ত নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে ভারতীয় রেলের।
এই নিয়মটা অনেকেরই জানা থাকে না। আর তার ফলে কোনও জরুরি প্রয়োজনে সংরক্ষিত টিকিট ছাড়াই দূরপাল্লার ট্রেনে উঠে চিন্তায় পড়তে হয়। মনে রাখতে হবে যদিও কোনও টিকিটহীন যাত্রীর কাছে প্লাটফর্ম টিকিটও না থাকে তবে টিটিই (ট্রাভেলিং টিকিট এগজামিনার) জরিমানা করতে পারেন। ভাড়া ও জরিমানার হিসাব হবে ট্রেনেটি যে স্টেশন থেকে ছেড়েছে তা অনুযায়ী। ধরে নেওয়া হবে টিকিটহীন যাত্রী ট্রেনটির যাত্রা শুরু থেকেই সফর করছেন। কিন্তু সঙ্গে প্লাটফর্ম টিকিট থাকলে এটা স্পষ্টই বোঝা যাবে যে ওই যাত্রী কোন স্টেশন থেকে ট্রেনে চেপেছেন।
তবে এমন যাত্রী খুব বেশি হলে চাপে পড়ে যাবে রেল। কারণ, ট্রেনের আসন সংরক্ষণ শুরু হয় কয়েক মাস আগে থেকে। এর পরেও জরুরি সফরের জন্য রয়েছে তৎকাল পদ্ধতিতে টিকিট কাটার সুযোগ। এর পরেও জরুরি ভিত্তিতে কেউ সফর করতে চাইলে প্লাটফর্ম টিকিট নিয়ে ট্রেনে উঠতে পারেন। তবে ট্রেনে উঠে টিকিট পরীক্ষকের জন্য অপেক্ষায় থাকলে চলবে না। সঙ্গে সঙ্গেই টিটিই-র সঙ্গে দেখা করে জানাতে হবে কেন তিনি প্লাটফর্ম টিকিট নিয়ে ট্রেনে চেপেছেন। টিটিই উত্তরে সন্তুষ্ট হলে যে স্টেশনের প্লাটফর্ম টিকিট রয়েছে সেখান থেকে গন্তব্য পর্যন্ত ভাড়া নিয়ে নেবেন ও হাতে তৈরি টিকিট দিয়ে দেবেন। শুধু তাই নয়, যে বগিতে তিনি উঠেছেন সেটি সাধারণ না শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত তার উপরে নির্ভর করবে ভাড়ার পরিমাণ। সেই টিকিট পাওয়ার পরে নিশ্চিন্তে যাত্রা করতে পারবেন সংশ্লিষ্ট যাত্রী। তবে আসন না থাকলে না-ও মিলতে পারে। সে ক্ষেত্রে সংরক্ষিত আসন ছাড়াই সফর করতে হবে। আবার জবাবে সন্তুষ্ট না হলে পরের স্টেশনে টিটিই ট্রেন থেকে ওই যাত্রীকে নামিয়েও দিতে পারেন।