প্রতীকী ছবি।
গত ১ জুন থেকে চটকলগুলিকে ১০০% কর্মী নিয়ে পুরোদমে কাজ চালুর অনুমতি দিয়েছে রাজ্য। কিন্তু লকডাউনের সময়ে চটকল শ্রমিকদের বড় অংশ বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশায় ফিরে যাওয়ায় এখন প্রবল সমস্যায় পড়েছে চটশিল্প। সংশ্লিষ্ট মহলের প্রশ্ন, এত কম কর্মী নিয়ে কাজ চলবে কী করে? বিশেষত সামনে যেখানে চটের বস্তা তৈরির বরাত পূরণের লক্ষ্য আছে। আতান্তরে পড়ে ভিন্ রাজ্যের শ্রমিকদের ১৫ জুনের মধ্যে যে করে হোক কাজে ফেরানো এবং স্থানীয় শ্রমিকদের অস্থায়ী ভিত্তিতে উৎপাদনের কাজে লাগানোর ব্যাপারে রাজ্যের হস্তক্ষেপ চাইল চটকল মালিকদের সংগঠন আইজেএমএ। মঙ্গলবার সংগঠনের এক প্রতিনিধি দল রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটকের সঙ্গে দেখা করে এ ব্যাপারে লিখিত আবেদন পেশ করেছে।
চটকল মালিকদের একাংশ জানিয়েছেন, লকডাউনের কারণে কারখানায় বেশ কিছু দিনের জন্য তালা ঝোলায় ইতিমধ্যেই বিপুল ক্ষতি হয়ে গিয়েছে তাঁদের। বিভিন্ন কারণে ৬.৫ লক্ষ বেল বস্তার বরাত চলে গিয়েছে প্লাস্টিক শিল্পের হাতে। এখন কেন্দ্র ১৫ জুন থেকে দিনে ১০ হাজার বেল চটের বস্তা উৎপাদন করতে বললেও, হাতে সেই লক্ষ্য পূরণের মতো যথেষ্ট শ্রমিক কোথায়? চট শিল্পের আর্জি, এই সমস্যার সমাধানে স্পষ্ট নির্দেশিকা জারি করুক রাজ্য।
আইজেএমএ-র একটি সূত্র জানাচ্ছে, বিষয়গুলি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন শ্রমমন্ত্রী। এ বিষয়ে মলয়বাবুর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
কোনও কোনও মহলের অবশ্য বক্তব্য, পরিযায়ী শ্রমিকেরা এত তাড়াতাড়ি ফিরে এসে কাজে যোগ দিলে করোনা সংক্রমণেরও একটা আশঙ্কা তৈরি হতে পারে। অথচ নির্মাণ শিল্প, চট শিল্পের বেশ কিছু ক্ষেত্র অনেকটাই নির্ভরশীল এই পরিযায়ী শ্রমিকদের উপরে। ফলে এই সমস্ত শিল্প এখন কার্যত উভয়সঙ্কটে।
সমস্যা রয়েছে আরও। প্রশ্ন উঠেছে, চটকল শ্রমিকেরা ফিরবেন কী ভাবে? সে খরচই বা কে গুনবে? রাজ্যের এক চটকল মালিকের বক্তব্য, পরিযায়ী শ্রমিকেরা লকডাউনের সময়ে নিজেদের উদ্যোগে ফিরে গিয়েছেন। এখন নিজেদের উদ্যোগেই তাঁদের ফিরতে হবে।