প্রতীকী ছবি।
মাসের শুরুতে বাধ্যতামূলক হয়েছে সোনার গয়নায় হলমার্কিং ব্যবস্থা। তার পর থেকেই এ নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন গয়না ব্যবসায়ীরা। তাঁদের অভিযোগ, ব্যুরো অব ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ড-এর (বিআইএস) চালু করা নতুন ব্যবস্থায় হলমার্ক করাতে গিয়ে আগের থেকে পাঁচ গুণেরও বেশি সময় লাগছে। প্রশ্ন উঠছে হলমার্ক কেন্দ্রে জমে থাকা গয়নার নিরাপত্তা নিয়েও। এমনিতেই করোনার ধাক্কা এবং চড়া সোনার দামে বিক্রিতে ভাটা। তার উপরে এই সমস্যায় ব্যবসা প্রায় বন্ধের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। প্রতিবাদ জানাতে রাজ্য জুড়ে আন্দোলনে নামার কথা ভাবছেন তাঁরা। ডাকা হতে পারে ধর্মঘটও। বিআইএস অবশ্য জানিয়েছে, গয়না ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সংগঠনের থেকে পাওয়া অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
নতুন ব্যবস্থার সঙ্গে ব্যবসায়ীদের খাপ খাইয়ে নিতে দু’মাস সময় দিয়েছে কেন্দ্র। এর মধ্যে নিয়ম ভাঙলেও জরিমানা হবে না। কিন্তু শিল্পের দাবি, হলমার্কের প্রক্রিয়াতেই সমস্যা রয়েছে। স্বর্ণ শিল্প বাঁচাও কমিটির কার্যকরী সভাপতি বাবলু দে বলেন, ‘‘প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে তিন দিন বা তারও বেশি লাগছে। অথচ আগে ঘণ্টা চারেকের মধ্যেই হয়ে যেত। তার উপরে বেশি দিন ধরে গয়না হলমার্কিং কেন্দ্রে রাখতে হওয়ায় সেগুলির নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। সমস্যা রয়েছে বিআইএস-এর পোর্টাল নিয়েও।’’
অল ইন্ডিয়া গোল্ড ডোমেস্টিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আশিস পেথের দাবি, ‘‘অতিমারিতে ব্যবসার হাল খারাপ। তার উপরে নতুন ব্যবস্থা চালুর পরে দেশ জুড়েই পুজোর মুখে ব্যবসা প্রায় বন্ধের মুখে।’’ শিল্প মহল বলছে, এতে বিশেষত সমস্যায় পড়েছেন ছোট ব্যবসায়ীরা। অখিল ভারতীয় স্বর্ণকার সঙ্ঘের সাধারণ সম্পাদক টগর পোদ্দার বলেন, ‘‘অনেক হলমার্কিং কেন্দ্রই কমপক্ষে পাঁচটি গয়না না-পাঠালে তা ফেরত দিচ্ছে। ছোট বিপণিতে একসঙ্গে বেশি বরাত আসে না। ফলে ব্যবসা বন্ধ হওয়ার জোগাড় হয়েছে।’’
হলমার্ক কেন্দ্রের মালিকদের অবশ্য দাবি, এই সমস্যা কেটে যাবে। জে জে গোল্ডের মালিক হর্ষদ অজমেঢ়ার কথায়, ‘‘যে কোনও নতুন ব্যবস্থা চালুর সময়েই সমস্যা হয়। যেমন জিএসটি-তে হয়েছে। ধীরে ধীরে তা কাটবে বলেই বিশ্বাস।’’