— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
চলতি অর্থবর্ষ (২০২৩-২৪) শেষ হতে বাকি আর ঠিক আড়াই মাস। তবে হাতে সময় আছে বলে বসে থাকলে চলবে না। নতুন নাকি পুরনো, কোন আয়কর কাঠামোয় থাকতে চাইছেন, সে ব্যাপারে চটজলদি ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এ বার থেকে নতুন কাঠামোই হবে মূল কাঠামো। ফলে যে ব্যবস্থায় নাম লিখিয়ে আয়কর কাটাতে চাইবেন করদাতা, সেটা আগেভাগে জানিয়ে দিতে হবে নিয়োগকারীকে। সেই অনুযায়ী উৎসে কর কাটবে তারা। একটা কথা মনে রাখা দরকার— একটি থেকে অন্য কাঠামোয় সরে যাওয়ার সুযোগ প্রত্যেক বছরই থাকবে, যদি না সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ব্যবসা অথবা পেশাগত আয় থাকে। এই দুই সূত্র থেকে আয় থাকলে মাত্র এক বারই তার কর কাঠামো বদলানো যাবে।
এখন প্রশ্ন হল, কোন কাঠামো কার জন্য বেশি সুবিধাজনক তা কী করে বুঝবেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি? এর জন্য সব থেকে আগে দুই কাঠামোর মূল বৈশিষ্টগুলি জানতে হবে। যেমন—
তাই সমস্ত হিসাব কষে দ্রুত কর কাঠামো বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং আগেভাগেই নিয়োগকর্তাকে তা জানিয়ে দেওয়া জরুরি। কোন সংস্থা কী ভাবে গোটা বিষয়টি পরিচালনা করবে, সেটা তাদের ব্যাপার। তবে কাঠামো পছন্দের বিষয়টি করদাতাকেইকরতে হবে।
যাঁরা মোটা বাড়ি ভাড়া ভাতা পান, গৃহ ঋণ অথবা শিক্ষা ঋণ নিয়েছেন, ৮০সি ধারায় পুরো ১.৫ লক্ষ টাকা এবং এনপিএস অ্যাকাউন্টে ৫০,০০০ টাকা লগ্নি করতে চান, তাঁদের ক্ষেত্রে পুরনোটি বেশি লাভজনক বলে মনে হতে পারে। তবে এই কাঠামোয় থাকার সিদ্ধান্ত নিলে তাড়াতাড়ি করে সেরে ফেলতে হবে বিনিয়োগের কাজও। নতুনটিতে থাকতে চাইলে অবশ্য তেমন কিছু করণীয় নেই করদাতার।
যে সমস্ত মানুষের বার্ষিক রোজগার ৫ লক্ষ থেকে ৭ লক্ষ টাকার মধ্যে, তাঁদের জন্য অবশ্য নতুন কাঠামো বেশি লাভজনক বলে মনে হয়। তাঁদের কোনও কর দিতে হবে না। অর্থাৎ, মাসে ৫৮,৩৩৩ টাকা পর্যন্ত আয়ে কোনও কর বসবে না। এর সঙ্গে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন ধরলে ৬২,৫০০ টাকা পর্যন্ত করমুক্ত। তবে পুরনো কাঠামোতেও বছরে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত রোজগার করমুক্ত হতে পারে, যদি ২ লক্ষ টাকা কিংবা তার বেশি ছাড় পাওয়া যায়।
(মতামত ব্যক্তিগত)