Start Up

বাংলাকে নতুন সংস্থার আঁতুড়ঘর করার বার্তা, আসরে আইএসআই

সব খামতি যথাসম্ভব পূরণের জন্য মাঠে নামল ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট বা আইএসআই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ ০৭:৩৬
Share:

আইএসআই ছাড়াও রাজ্যে স্টার্ট আপের অত্যাধুনিক ‘আঁতুড়ঘর’ রয়েছে আইআইটি, আইআইএম-সহ প্রথম সারির একাধিক প্রতিষ্ঠানে। —প্রতীকী চিত্র।

স্টার্ট আপ বা নতুন সংস্থাকে জন্ম দেওয়ার ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ গত কয়েক বছরে বেশ কিছুটা উন্নতি করলেও, অন্য অনেক রাজ্যের তুলনায় পিছিয়ে। এই পথে আরও জোরকদমে হাঁটার ক্ষেত্রে বাংলার খামতিগুলি নিয়ে কাঁটাছেঁড়াও হচ্ছে বিস্তর। এ বার সেই সব খামতি যথাসম্ভব পূরণের জন্য মাঠে নামল ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট বা আইএসআই। গত দু’বছর ধরে নতুন উদ্যোগগুলির জন্য আধুনিক প্রযুক্তির ‘ইনকিউবেশন সেন্টার’ (আঁতুড়ঘর) পরিচালনা করছে তারা। এ বছর থেকে সেটাই আরও বড় আকারে করার পরিকল্পনা, জানান সেন্টারের সিইও অগ্নিমিত্র বিশ্বাস। তাঁর দাবি, আরও বেশি সংস্থাকে নিয়ে কাজ করবে আইএসআই। সব খামতি ভরাট করে পাকাপাকি ভাবে বাংলাকে নয়া উদ্ভাবনের প্রকৃত আঁতুড়ঘর করে তোলার ভাবনা রয়েছে। উল্লেখ্য, আইএসআই ছাড়াও রাজ্যে স্টার্ট আপের অত্যাধুনিক ‘আঁতুড়ঘর’ রয়েছে আইআইটি, আইআইএম-সহ প্রথম সারির একাধিক প্রতিষ্ঠানে।

Advertisement

বুধবার কলকাতায় ক্ষুদ্র-ছোট-মাঝারি সংস্থা এবং নতুন উদ্যোগগুলিকে নিয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জানা গিয়েছে, এ রাজ্যে এখন নতুন সংস্থা প্রায় ২১০০টি। অথচ সারা দেশে সংখ্যাটা ২.২ লক্ষ পেরিয়েছে। ফলে এ ক্ষেত্রে বাংলা যে প্রথম সারিতে নেই, সেটা স্পষ্ট। আইএসআই ইনকিউবেশন সেন্টারের অন্যতম কর্তা দেবাশিস ঘোষ বলেন, ‘‘রাজ্যের স্টার্ট আপ সংস্থাগুলি যাতে খামতিগুলি কাটিয়ে উঠতে পারে, তাতেই জোর দেওয়া হচ্ছে। গত দু’বছর ধরে আমরা ১৬টি এমন সংস্থাকে নিয়ে কাজ করেছি এই কেন্দ্রে। সেগুলিকে বাঁচিয়ে রাখার রসদ জোগানো তো বটেই, ৭টিকে কেন্দ্রীয় তহবিলের সহায়তাও দেওয়া হয়েছে। এতে অবশ্য রাজ্যের সংস্থার পাল্লা কিছুটা ভারি। এ বার ন্যূনতম ২৫টিকে উদ্যোগকে লালন-পালন করতে চাই।’’ তিনি জানান, এ বছর যে সব সংস্থা আসবে, তারা ‘স্টার্ট আপ ইন্ডিয়া’ প্রকল্পের আওতায় আর্থিক সহায়তা পাবে। ফলে মোট তহবিলও বাড়বে। তাই অনেক বেশি সংস্থাকে সাহায্য করা যাবে। সেই কারণে পশ্চিমবঙ্গের আরও বেশি উদ্যোগপতি এবং নতুন সংস্থাকে আঁতুড়ঘরে যোগ দেওয়ার ডাক দেন তিনি।

সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, নতুন ভাবনা নিয়ে সদ্য ব্যবসায় নামা সংস্থা নানা কারণে বেড়ে ওঠার আগেই মুখ থুবড়ে পড়তে পারে। সেখানে প্রকল্পের রূপায়ণ থেকে পুঁজির জোগান, সবটাই বিরাট চ্যালেঞ্জ। আঁতুড়ঘর প্রয়োজনীয় সমস্ত কিছু জুগিয়ে সামান্য একটি পরিকল্পনা বা উদ্যোগকে ডালপালা মেলার জায়গা করে দেয়। যাতে তা মহীরুহে পরিণত হতে পারে। দেবাশিসদের দাবি, এ রাজ্যের সেই লালন-পালনের ক্ষমতা রয়েছে।

Advertisement

অনুষ্ঠানে হাজির উদ্যোগপতি দীপঙ্কর চক্রবর্তী বলেন, “স্টার্ট আপের নিরিখে বাংলা সম্ভবত দেশে ১২ কিংবা ১৩। আরও বেশি সংস্থা সফল না হলে এগিয়ে যাওয়া অসম্ভব। এ জন্য প্রযুক্তি ছাড়াও উদ্ভাবন ক্ষমতা এবং মৌলিক চিন্তাভাবনা দরকার।’’ তবে উপস্থিত সকলেই একমত, বাংলার যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যবসার প্রবণতায় ঘাটতি রয়েছে। এখনও সকলে চাকরি পেতে প্রাণপাত করে। রাজ্যে এখনও তেমন ভাবে উদ্যোগপতি হয়ে ওঠার মানসিকতাই তৈরি হয়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement