প্রতীকী ছবি।
প্রস্তাবিত খসড়া টেলিকম বিলে একগুচ্ছ সংস্কারমুখী পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে দাবি করেছে কেন্দ্র। কিন্তু একাংশের অভিযোগ, সেই বিল কার্যকর হলে টেলিকম নিয়ন্ত্রক ট্রাইয়ের ক্ষমতা এবং নিরপেক্ষতা কমবে। সূত্রের দাবি, খসড়ার বেশ কিছু প্রস্তাবে আপত্তি রয়েছে খোদ ট্রাইয়েরও। সেই বিতর্কের মধ্যেই এ বার টেলিকম দফতর (ডট) সূত্রের খবর, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে ট্রাইয়ের সঙ্গে। আগামী দিনে ট্রাইকে আরও শক্তিশালী করার জন্য আলাদা ভাবে পদক্ষেপ করার ইঙ্গিত দিয়েছে সরকার।
টেলিকম পরিষেবার গুণগত মান, মাসুল, বিভিন্ন ধরনের বিরোধ মেটানোর পরিকাঠামো (টিডিস্যাট) ইত্যাদি ক্ষেত্রে এখন সরকারের হস্তক্ষেপের কোনও সুযোগ নেই। নিয়ন্ত্রকই সেখানে মুখ্য। কিন্তু সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, নতুন বিলে কার্যত সেই সমস্ত ক্ষেত্রে সরকারের হস্তক্ষেপ করার সুযোগ থাকবে। ফলে ট্রাইয়ের ক্ষমতা এবং অধিকার ক্ষুণ্ণ হওয়ার অভিযোগ উঠছে। সেই সূত্রে একাংশ আশঙ্কা প্রকাশ করে সাধারণ মানুষের স্বার্থ রক্ষা হওয়া নিয়েও। অনেকের মতে, নিয়ন্ত্রকের ক্ষমতা খর্ব হলে লগ্নিকারীদের এ দেশের টেলিকম ক্ষেত্র সম্পর্কে আস্থাতেও ধাক্কা লাগতে পারে। জল্পনা ছড়িয়েছিল, ট্রাই প্রধানমন্ত্রীর দফতরের কাছে আশঙ্কার জায়গাগুলি তুলে ধরবে।
ডট সূত্রের দাবি, ডট ও ট্রাইয়ের মধ্যে মতপার্থক্য নেই। দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনাও হয়েছে এবং সমস্যা মিটে গিয়েছে। তবে ট্রাইকে শক্তিশালী করতে পদক্ষেপ নিয়ে ডটের নির্দিষ্ট ভাবনা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে আমেরিকার ফেডারাল কমিউনিকেশন্স কমিশন বা ব্রিটেনের নিয়ন্ত্রকের পথ অনুসরণ করা হতে পারে। তবে এখনই নয়, ৩-৪ বছর পরে আলাদা ভাবে সেই পথে হাঁটা হতে পারে বলে ইঙ্গিত। আপাতত বিতর্কিত সংশোধনগুলি খসড়া থেকে বাদ দেওয়া হতে পারে।