নরেন্দ্র মোদী
বাজারে চাহিদা না-থাকলে তারা নতুন পুঁজি ঢালবেন কেন, বেশ কিছু দিন ধরেই এই প্রশ্ন তুলছে শিল্প মহল। এমনকি সরকার অর্থনীতি চাঙ্গা করার লক্ষ্যে কর্পোরেট কর ছাঁটাইয়ের মতো একগুচ্ছ পদক্ষেপ করার পরেও। সূত্রের খবর, তবু সোমবার দেশের প্রথম সারির শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠকে বসে সেই লগ্নির কথাই জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রশ্ন করেছেন, বড় মাপের লগ্নি কী রকম আসছে?
সরকারি ও শিল্প সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে কোনও প্রতিশ্রুতি চাননি মোদী। কিন্তু সাধারণ ভাবে বুঝে নিতে চেয়েছেন, শিল্পপতিদের লগ্নি পরিকল্পনা। তার পরে আজ, মঙ্গলবার মোদী আলোচনায় বসেন বণিকসভা সিআইআইয়ের সঙ্গে। সূত্রের দাবি, সেখানেও আলোচনা হয়েছে লগ্নি নিয়ে। উঠেছে অর্থনীতির সমস্যার কথাও। শুক্রবার ফের বৈঠক। প্রধানমন্ত্রী বসবেন দেশের প্রথম সারির অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে। সরকারি সূত্রের খবর, প্রায় ৫০ জন অর্থনীতিবিদ আমন্ত্রিত। সংশ্লিষ্ট মহলের প্রশ্ন, অর্থনীতি নিয়ে কি সত্যিই দিশেহারা কেন্দ্র? তাই দুর্ভোগ কাটানোর রাস্তা খুঁজতে মরিয়া হয়ে নাগাড়ে বৈঠক করছেন মোদী?
শিল্পপতিদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আজ চলতি অর্থবর্ষের জিডিপি সম্পর্কে সরকারের প্রাথমিক অনুমান প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে বৃদ্ধি ৫ শতাংশে আটকে থাকারই ইঙ্গিত মিলেছে। কিন্তু মূল্যবৃদ্ধি-সহ আর্থিক বৃদ্ধির হার থাকবে ৭.৫%। অর্থাৎ, মূল্যবৃদ্ধির হার খুবই কম থাকবে। যার অর্থ বাজারে বিশেষ চাহিদা বাড়ার সম্ভাবনা নেই। তা হলে শিল্প লগ্নি করবে কেন, সেই প্রশ্ন তুলছেন অর্থনীতিবিদেরা।
একের পর এক
• সোমবার দেশের প্রথম সারির শিল্পপতিদের সঙ্গে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বুঝে নিতে চেয়েছিলেন তাঁদের লগ্নির পরিকল্পনা। সরাসরি বলেছিলেন শিল্প মহলের আরও বিনিয়োগ করা উচিত।
• মঙ্গলবার বসেন বণিকসভা সিআইআইয়ের সঙ্গে। সহজে ব্যবসা করার পথ, লগ্নি, রফতানি-সহ শিল্প-অর্থনীতির চিন্তা বাড়িয়েছে এমন হাজারো বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে।
• আগামী শুক্রবার দেশের প্রথম সারির অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে বসবেন। সূত্রের দাবি, অর্থনীতির ঝিমুনি কাটাতে আগামী বাজেটে কী কী দাওয়াই দরকার, তা শুনে নিতে চাইছেন।
সোমবারের বৈঠকের পর শিল্প মহল মনে করছে, অর্থনীতিতে গতি আনতে নতুন লগ্নি টানার ক্ষেত্রে মোদী একেবারেই অপেক্ষা করতে রাজি নন। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেওছেন, শিল্পের উচিত আরও বিনিয়োগ করা। সে জন্য ছাড়পত্র সমেত নানা বিষয়ে কেন্দ্রের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। যদিও বাজারে চাহিদা না থাকলে নতুন লগ্নি কেন হবে, সে প্রশ্নের জবাব সরকারি কর্তা-ব্যক্তিদের কাছে নেই।
১ ফেব্রুয়ারি বাজেট। তিন সপ্তাহ বাকি। সূত্রের দাবি, অর্থনীতির ঝিমুনি কাটাতে বাজেটে কী কী দাওয়াই দরকার, এ বার তা অর্থনীতিবিদদের কাছ থেকে জানবেন মোদী।