প্রতীকী ছবি।
আগেই অর্থনীতিতে খারাপ খবরের প্রবাহ শুরু হয়েছিল। করোনা হানার পরে তা-ই বন্যার চেহারা নিয়েছে। ছ’সাত মাস ধরে জীবন ও জীবিকার উপর দিয়ে ঝড় বয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় হঠাৎ একগুচ্ছ খবর আশায় জ্বালানি জুগিয়েছে। যেমন, সেপ্টেম্বরের জিএসটি আদায় বহু দিন পরে ৯৫ হাজার কোটি টাকা পেরিয়েছে। আগের মাসের থেকে ৯০০০ কোটি বেশি। কল-কারখানায় উৎপাদনের সূচক অর্থনীতি চাঙ্গা হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে। মারুতি, হুন্ডাই, টাটা মোটরসের মতো সংস্থার গাড়ি বিক্রি বেড়েছে। ছ’মাস সঙ্কোচনের পরে সেপ্টেম্বরে রফতানি বেড়েছে ৫.২৭%। অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষণ দেখা যাচ্ছে বলে বার্তা দিতে কালক্ষেপ করেনি কেন্দ্রও।
তবু উঠছে প্রশ্ন, সত্যি এমন আশা করার সময় এসেছে তো! শেয়ারে লগ্নিকারীরা বিশ্বাস করতে চাইছেন অর্থনীতি ছন্দে ফিরছে। যে বিশ্বাসে ভর করে সম্প্রতি ৩৬ হাজারের ঘরে নেমে যাওয়া সেনসেক্স বৃহস্পতিবার ৩৮,৬৯৭ অঙ্কে উঠেও এসেছে। তবু প্রশ্নের জবাবে নিশ্চয়তা না-মিললে সূচকের গতিতে অনিশ্চয়তা কাটা কঠিন। বিশেষত, অর্থনীতিবিদেরা যেখানে হুঁশিয়ার করছেন, দীর্ঘ লকডাউন শেষে ও উৎসবের মরসুমের মুখে কেনাকাটা বাড়বেই। কিন্তু প্রশ্ন হল চাকরি না-বাড়লে, অতিমারি ও আর্থিক সঙ্কটের ভয় না-কাটলে সেই চাহিদা টিকবে তো? আর সরকার খরচ না-বাড়ালে কাজ বাড়বেই বা কী করে!
গাড়ি শিল্পেরও দাবি, বিক্রি বৃদ্ধি নতুন চাহিদা নির্ভর না-হলে তা ফের উধাও হবে। মোদ্দা কথা, অক্টোবর-নভেম্বর পার না-হলে বোঝা যাবে না অর্থনীতি সত্যিই ঘুরে দাঁড়াচ্ছে কি না। তবে আশা, ভাল খবরগুলিতে বাজার কিছুটা হলেও উদ্বুদ্ধ হবে।
(মতামত ব্যক্তিগত)