প্রতীকী ছবি।
করোনা সংক্রমণের চিকিৎসার জন্য বিমা সংস্থাগুলিকে স্বল্প মেয়াদের পলিসি আনতে বলেছে নিয়ন্ত্রক আইআরডিএ। বিমা বিশেষজ্ঞদের মতে, চালু স্বাস্থ্য বিমার থেকে কম প্রিমিয়ামে যদি করোনা চিকিৎসার অতিরিক্ত সুবিধা পাওয়া যায়, তা হলে অনেকেই তা কিনবেন। এমনকি যাঁদের চিকিৎসা বিমা নেই, তাঁদের একাংশও। তবে গ্রাহকদের অনেকে বলছেন, এমনিতে বিমার ক্লেম নিয়ে হয়রানির অভিযোগ কম নেই। অন্তত এ ক্ষেত্রে যেন প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পরিষেবা দেয় বিমা সংস্থা, আর নজরদারি বাড়ায় নিয়ন্ত্রক। কারণ, অতিমারির আবহে মানুষ আর্থিক ভাবে বিপর্যস্ত। ফলে করোনা চিকিৎসার বিমা কেনার পরে যেন নতুন হয়রানিতে পড়তে না-হয়।
ন্যাশনাল ইনশিওরেন্সের এক কর্তা বলেন, ‘‘আশা করা যায় ‘করোনা কবচ’ পলিসির প্রিমিয়াম কম হবে। সে ক্ষেত্রে স্বল্প মেয়াদের ওই পলিসি কিনতে গ্রাহকেরা আগ্রহী হতে পারেন।’’ তবে আইআরডিএ-র নির্দেশ অনুযায়ী, ‘করোনা রক্ষক’ পলিসিতে চিকিৎসার জন্য আলাদা খরচ মিলবে না। ডাক্তারি পরীক্ষায় করোনা ধরা পড়লে এবং কমপক্ষে ৭২ ঘণ্টা হাসপাতালে থাকলে বিমাকৃত পুরো টাকা পাবেন গ্রাহক। পরীক্ষা করাতে হবে সরকার স্বীকৃত কেন্দ্র থেকে।
কিছু সংস্থা ইতিমধ্যেই চালু বিমার পলিসিতে ‘করোনা কবচ’-এর সুবিধা জোড়ার কথা ভাবছে। ইফকো টোকিয়ো জেনারেল ইনশিওরেন্সের এমডি-সিইও অনামিকা রায় বলেন, ‘‘করোনা কবচে যে সব বাড়তি সুবিধা থাকছে, সেগুলি সাধারণ স্বাস্থ্য বিমা পলিসিতেও রাখা যায় কি না, দেখা হবে।’’ তা ছাড়া, এখন যে সব স্বাস্থ্য বিমা চালু রয়েছে, তার সবগুলিতেই করোনা চিকিৎসার খরচ মিলবে। আইসিআইসিআই লম্বার্ড জিআইসির এগ্জ়িকিউটিভ ডিরেক্টর সঞ্জীব মন্ত্রী বিবৃতিতে জানান, তাঁদের চালু পলিসিতেও এই সুবিধা মিলছে।
খরচ সামলাতে
• সাধারণ ও স্বাস্থ্য বিমা সংস্থাগুলিকে ‘করোনা কবচ’ পলিসি আনতে বলেছে আইআরডিএ।
• ‘করোনা রক্ষক’ পলিসি আনতে পারবে সেই সমস্ত জীবন বিমা সংস্থাও, যারা স্বাস্থ্য বিমা বেচে।
• পলিসি আনতে হবে ১০ জুলাইয়ের মধ্যে।
• সাধারণ স্বাস্থ্য বিমার সঙ্গেও মিলছে করোনার চিকিৎসার সুবিধা।
গ্রাহক বলছেন, উদ্যোগ সময়োপযোগী। তবে প্রতিশ্রুতি ও বাস্তবের মধ্যে সামঞ্জস্য থাকে কি না, তা সময়ই বলবে। আবার অনেক কিছু নির্ভর করবে প্রিমিয়ামের উপরেও।