তিন দিন চার রাতের পুরী ভ্রমণ। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
পুরীর নাম শুনলেই বড় অংশের বাঙালির মন উড়ু উড়ু করে ওঠে। তবে বঙ্গবাসী নয়, দিল্লিবাসী বাঙালিদের জন্য মহা-সুযোগ নিয়ে এসেছে ভারতীয় রেলের অধীনস্থ সংস্থা ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ক্যাটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশন (আইআরসিটিসি)। চার দিনের সস্তা প্যাকেজ নিয়ে এসেছে তারা। যাত্রা শুরু এবং শেষ দুই-ই দিল্লিতে।বিমানে দিল্লি থেকে বিমানে ভুবনেশ্বর হয়ে পুরী। তিন রাত, চার দিনের প্যাকেজে মন্দির দর্শন থেকে পুজো দেওয়া সবই হবে। সেই সঙ্গে যাওয়া যাবে চিলিকা হ্রদ ভ্রমণে। সফরের অঙ্গ হবে কোণার্কের সূর্য মন্দিরও।
এই বিশেষ সফর শুরু হবে দু’দফায় আগামী ১৮ নভেম্বর ও ২৩ ডিসেম্বর। প্রথম দিন সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে দিল্লি বিমানবন্দর থেকে যাত্রা। ১২টায় ভুবনেশ্বর পৌঁছে গাড়িতে পুরীর হোটেল। খাওয়াদাওয়া সেরে সন্ধ্যায় মন্দির দর্শন আর রাত্রিবাস। পরের দিন প্রাতরাশ সেরে চিলিকার উদ্দেশে রওনা। সেখানে নৌকায় চেপে হ্রদে ভ্রমণ। বিভিন্ন দ্বীপে নামা, ডলফিন দেখার আনন্দ এবং পুরীতে ফিরে এসে রাত্রিযাপন। এর মাঝে থাকবে অলরনাথ মন্দির দর্শন।
তৃতীয় দিনে কোণার্ক যাত্রা। সূর্য মন্দির ঘুরে দেখার পরে চন্দ্রভাগা সৈকত এবং স্থানীয় বাজার ঘুরে পুরীতে ফেরা। খাওয়াদাওয়া সেরে রাত কাটিয়ে পরের দিন সকালেই ভুবনেশ্বর ফেরা। পথে লিঙ্গরাজ মন্দির, উদয়গিরি, খণ্ডগিরি এবং মুক্তেশ্বর মন্দির দর্শন। সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে বিমানে উঠে রাত ৯টা ১০ মিনিটে দিল্লি।
এই সফরের জন্য মাথাপিছু খরচ নানা রকমের। কেউ হোটেলের ঘরে একা থাকতে চাইলে ৩৪,৭৯৫ টাকা, দু’জনে ও তিনজন একই ঘরে থাকলে যথাক্রমে ২৫,৫৮০ এবং ২৩,৯৯৫ টাকা। ৫ বছরের কম বয়সের ছোটদের জন্য মাথাপিছু খরচ ১৪,২০৫ টাকা। এর উপরে ১১ বছর বয়স পর্যন্ত আলাদা বিছানা নিলে ২০,০১০ টাকা আর না নিলে ১৭,৫৫০ টাকা।